মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর, ২০১০
মেইল করে শত্রুর কম্পিউটার অচল করে দিন
আজ আমি আপনাদের এমন এক জিনিস দিব যা আপনারা আগে কখনোই আমার কাছে পাননি। আজ আমি যে টিপস দিচ্ছি তা হলো আপনি মেইল করে অন্যের কম্পিউটার অচল করে দিতে পারবেন। তবে তার আগে একটি কথা তা হলো এটি দিয়ে কারো ক্ষতি করবেন না। এটি আপনি রেখে দিন হয়তো পরে কাজে লাগবে।
ফেসবুকের নোটিফিকেশন আসবে এখন থেকে আপনার মোবাইলে
আপনারা অনেকেই হয়তো মোবাইলে ফেসবুকের নোটিফিকেশন পাওয়ার জন্য চেস্টা করেছেন। চেস্টা করে দেখতে পেরেছেন ফেসবুকের এই সার্ভিস বাংলাদেশের গ্রাহকরা পাবে না। এটা কি সম্ভব???? আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ব আর আমরা যদি ভালো কোনো সার্ভিস থেকে বঞ্চিত হই এটা কি মেনে নেওয়া যায়? কখনোই না। আমরাও ফেসবুকের নোটিফিকেশন আমাদের মোবাইলে পাবো তাও আবার বিনাম্যল্যে।
কক্সবাজার ভ্রুমন
আমার এস এস সি পরীক্ষার রেজাল্টের পর আমার কিছু বড় ভাইরা বলল যে কক্সবাজার ঘুরতে যাবে। তখন আমি বললাম আমিও যাবো। তখন বড় ভাই জানতে চাইলো আমাদের ১ টা প্রাইভেট কার আছে রেন্ট এ কারে সেটা নেওয়া যাবে নাকি। আমি বললাম নেওয়া যাবে। ঠিক করলাম পরদিন বিকেলেই রওনা হব। কথামত আমরা পরদিন বিকেলে রওনা হলাম। যখন আমরা কুমিল্লা ব্রিজের এখানে পৌছলাম দেখি সারা রাতের জন্য ব্রিজ বন্ধ করে দিয়েছে। ব্রিজে নাকি কি সমস্যা হয়েছে।তখন আমরা ভাবলাম রওনা যখন হয়েছি কক্সবাজার আমরা যাবোই।
সিলেট ট্যুর
তখন আমি ঢাকায়। আর ৭ দিন পর আমার এস এস সি রেজাল্ট দিবে। রাত ৮ টায় আমার এক বন্ধু আমাকে কল দিয়ে বলল সিলেট যাবে ঘুরতে। আমি বললাম আমি যাবো না। সে বলল আমি না গেলে তারা কেউ যাবেনা। বাধ্য হয়ে আমার রাজি হতে হল। তখন সে বলল এখনি আমাকে রওনা হয়ে শিবপুর ইটাখোলা আসতে। আমরা রাত ১০ টায় সেখানে গেলাম। তারা আসলো রাত ১২ টায়। আমরা সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।গাড়িতে আমরা অনেক মজা করলাম। আমরা সবাই মিলে প্ল্যান করলাম প্রথমে আমরা জাফলং যাবো। ভোরে আমরা সেখানে পৌছলাম। এর মাঝে আমি একটা ঘুম দিয়ে উঠলাম।
Microsoft Corporation
· মাইক্রোসফট একটি যুক্তরাস্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান।
· বিল গেটস ও পল এল্যান ১৯৭৫ সালের ৪ এপ্রিল মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠা করেন।
· ১৯৭৯ সালের পহেলা জানুয়ারী মেক্সিকোর এলবার্কিক শহরে কার্যালয় স্থাপন করেন। বর্তমানে এটির সদর দপ্তর যুক্তরাস্ট্রের ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের রেডমন্ড শহরে অবস্থিত।
· মাইক্রোসফটের সবচেয়ে জনপ্রিয় সফটওয়ারগুলো হলো- মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ও মাইক্রোসফট অফিস।
· মাইক্রোসফটের প্রথম অপারেটিং সিস্টেমের নাম ছিলো জেনিক্স, যা ১৯৮১ সালে প্রকাশিত হয়। পরে এটি বিক্রি করে দেওয়া হয়।
· সাম্প্রতিক এক হিসাব অনুযায়ী বিশ্বের প্রায় ৮৭ শতাংশ ডেস্কটপ কম্পিঊটার ব্যবহারকারী উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে।
· মাইক্রোসফট সফটওয়ার- সম্পর্কিত প্রায় ১০০০০ পেটেন্টের মালিক।
· প্রযুক্তি ব্যবসার পাশাপাশি মাইক্রোসফট বড়শিল্পকর্ম সংগ্রাহকও। এর প্রধান এবং শাখা কার্যালয়ের দেয়ালগুলোতে প্রায় ৫০০ টিরও বেশী বিখ্যাত শিল্পীর চিত্রকর্ম, ছবি, সিরামিক্স শো পিস শোভা পায়।
· মাইক্রোসফটের কর্মীর সংখ্যা প্রায় ৯৫ হাজার।প্রতিষ্ঠান্টিতে পুরুষ ও নারী কর্মীর অনুপাত যথাক্রমে ৭৭ ও ২৩ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর, ২০১০
কিভাবে কম্পিউটারে শর্টকাট কি তৈরী করবেন?
কম্পিউটারে বিভিন্ন ধরনের কাজ করার জন্য প্রায় সময়ই বিভিন্ন প্রোগ্রাম ইনস্টল করা হয়। তবে সব প্রোগ্রাম সব সময় ব্যবহার করা হয় না। নিয়মিত ব্যবহারের প্রয়োজন হয় এমন প্রোগ্রামগুলো দ্রুত এবং সহজে চালু করার জন্য কিবোর্ড শর্টকাট তৈরি করে নেওয়া যায়। প্রয়োজনে ইনস্টল করা সব প্রোগ্রামের জন্যই এমন শর্টকাট তৈরি করা যাবে। কিবোর্ড শর্টকাট তৈরি করতে উইন্ডোজের স্টার্ট মেনু থেকে শর্টকাট তৈরি করতে চাইছেন এমন সফটওয়্যারটিতে ডান ক্লিক করে প্রোপার্টিস নির্বাচন করুন। এবার প্রোপার্টিস উইন্ডোর শর্টকাট ট্যাব থেকে Shortket key : এর পাশের খালি জায়গায় লিখে দিতে হবে পছন্দের শর্টকাট কি। তবে সরাসরি কিগুলোর নাম লিখতে হবে না। কিবোর্ড থেকে কোনো নির্দিষ্ট বোতাম চাপলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেটি নির্দিষ্ট হয়ে যাবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, যদি A বোতাপ চাপা হয়, তবে শর্টকাট কি হবে Ctrl+Alt+A। এভাবে অন্য যেকোনো বোতাম নির্ধারণ করে দেওয়া যাবে। তবে সব সময়ই শর্টকাট কি হবে Ctrl+Alt-এর পর অন্য কোনো বোতাম।
কিভাবে কম্পিউটার দ্রুত বন্ধ করবেন?
আমরা সাধারণত কম্পিউটার শাট ডাউন করি স্টার্ট মেনু থেকে। কিন্তু বিশেষ ক্ষেত্রে কম্পিউটার দ্রুত বন্ধ করতে করতে হয়। এ জন্য আপনাকে কি-বোর্ডে উইনডোজ কিতে (Ctrl এবং Alt-এর মাঝখানে) একবার চাপ দিয়ে দুবার U চাপতে হবে। তাহলে কম্পিউটার আপনা-আপনি বন্ধ (শাটডাউন) হবে। পরে আবার ইচ্ছে করলে কম্পিউটার ওপেন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো পদ্ধতির দরকার হবে না।
রবিবার, ৩ অক্টোবর, ২০১০
কার্জন (ডট) টিকে তে এখন থেকে সরাসরি রেডিও শুনতে পারবেন
কার্জন (ডট) টিকে তে এখন থেকে সরাসরি রেডিও শুনতে পারবেন। এখন আপনি চাইলেই রেডিও শুনে শুনে ব্লগ পরতে পারবেন। এই রেডিও তে আপনি বাংলা এবং হিন্দি গান ও চ্যানেল আই এর প্রতি ঘন্টার নিউজ আপডেট শুনতে পারবেন। আপনি যদি রেডিও শুনতে না চান তাহলে এটি বন্ধ করে রাখতে পারবেন।
বি.কে.এস.পি তে আমার কিছুদিন ২
আগের লিখা
আমি তখন এতই বোকা ছিলাম যে জুতার ফিতাও বাধতে পারতাম না। আমার জুতার ফিতা খুলে গেলে কোচ আমার ফিতা বেধে দিত এবং আমি যেখানে যেভাবে খেলতে চাই সেভাবেই খেলতে দিত। এই সুবিধা অন্যরা পেত না। আমি ইচ্ছা করলেই অন্য খেলা যেমন ক্রিকেট, ফুটবল, বক্সিং ইত্যাদি দেখতে যেতে পারতাম। আমি ক্যান্টিন থেকে যা ইচ্ছা খেতে পারতাম। এককথায় এখানে আমার ১০০% সুবিধা ছিলো। সারাদিন ভালোই কাটতো কিন্তু রাত হলেই আমি বিছানাতে বসে বসে কান্না করতাম। কিছুতেই এখানে মন বসাতে পারতাম না। সব সময় বাড়ির কথা মনে হত। কিছুদিন পরে আমার খাতা কলমে'র পরীক্ষায় বসতে হলো। আমি তো কি বই পড়তে হবে তাই জানিনা এখন কি আর করব বসলাম পরীক্ষায়। প্রশ্ন দেওয়ার পর তো দেখি কিছুই বুঝি না। প্রশ্ন দেখেই আমি কাদতে শুরু করলাম। টীচার এসে আমাকে তখন বলল যা পার লিখ আর না পারলে খাতা রেখে দাও লিখার দরকার নেই। আমি কিছুই লিখিনি এভাবেই খাতা জমা দিলাম। তারপরেও আমি পাশ করলাম। আমি জানিনা কেন/কিভাবে আমি সব পাশ করতে লাগলাম। এরপর আমার ফিটনেস পরীক্ষা। এখানে সব কিছুই ঠিক ছিলো শুধু আমার উচ্চতা নিয়ে সমস্যা ছিলো। কারন তখন আমার উচ্চতা ছিলো অনেক কম। তারপরে সবাই কিভাবে যেন আমার উচ্চতাও বাড়িয়ে দিলো। (আমার উচ্চতা বাড়েনি, খাতা কলমে বেড়েছে।) যা হোক এখানেও আমি টিকে গেলাম। আর কোন পরীক্ষা নেই, সব পরীক্ষাতে আমি পাশ করেছি। এখন ট্রেনিং শেষ। সবাই বাড়িতে যাবে তারমানে আমিও যাবো। আমার তখন অনেক আনন্দ। প্রথম দিনেই অনেকের অভিভাবক এসে তাদের নিয়ে গেল। আমি তো ভয় পেয়ে গেলাম। মনে করলাম আমার বাসায় খবর পায়নি তাই আমাকে কেউ নিতে আসবে না। পরেরদিন দুপুর হয়ে গেলো কেউ নিতে আসলো না। আমি বারান্দাতে দাঁড়িয়ে কাদতে লাগলাম। শেষ বিকালে আমাকে নিতে আসলো। আমি খুশিতে নাচতে নাচতে তাদের সাথে বাড়ি গেলাম। মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলাম যে এই জীবনে আমি আর এদিকে আসবো না। প্রায় ১ মাস পর বি.কে.এস.পি থেকে চিঠি এসেছে। আমি নাকি সিলেক্ট হয়েছি। তখন আমি সবাই কে বললাম আমি আর যাবো না। এর পর আমাকে বুঝিয়েও আর ওখানে নিতে পারেনি।
আমি ওই জায়গাকে সবচেয়ে বেশি ভয় পেতাম ওই মিস কে। কেন ভয় পেতাম তা বলব না যদি কখনো তিনি এই লিখাটা পড়ে তাহোলে উনি হয়তো রাগ করবেন।
সেফ মুডে কম্পিউটার কিভাবে চালাবেন
উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীরা ‘সেফ মোডে’ কম্পিউটার চালানো সম্পর্কে কমবেশি জানেন। অপারেটিং সিস্টেম যখন সেফ মোডে চালু হয় তখন সীমিত সংখ্যক প্রয়োজনীয় ড্রাইভার ও সফটয়্যার লোড হয়। সাধারণত ভাইরাস থেকে পিসিকে রক্ষা করার জন্য বা অপারেটিং সিস্টেমের আনুষঙ্গিক কোনো কাজের জন্য অপারেটিং সিস্টেম সেফ মোডে লোড করা হয়।
ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য সেফ মোড চালু করতে তাহলে আপনাকে কিছু ধাপ অবলম্বন করতে হবে। প্রথমে ‘স্টার্ট’-এ গিয়ে Run ঢুকতে হবে। এবার msconfig লিখে এন্টার চাপতে হবে। তাহলে ‘System Configeration’ নামে একটা ডায়ালগ বক্স আসবে। এবারে বক্সের ‘Boot’ ট্যাবে ক্লিক করতে হবে। এবারে ‘Boot Option’ অংশের ‘Safe boot’-এর পাশে চেক ইন করতে হবে। এবং সেই সঙ্গে ‘Minimal’ অপশনটি নির্বাচন করতে হবে। তাহলেই আপনার কম্পিউটার সেফ মোডে চলার জন্য তৈরি হয়ে যাবে। এবার আপনি যখনই কম্পিউটার চালু করবেন, তখনই অপারেটিং সিস্টেম লোড হবে সেফ মোডে।
ফেসবুকে ইউজারনেম দিয়ে লগিন করুন
অনেকেই ফেসবুকে ইউজারনেম ব্যবহার করে থাকে। ফেসবুকে লগইন করার সময় ই-মেইল আইডির পরিবর্তে ইউজারনেম দিয়েও ফেসবুকে লগইন করা যায়। ফেসবুকে ইউজারনেম যোগ করার জন্য প্রথমে ফেসবুকে লগইন করে ওপরে ডান পাশের Account থেকে Account Settings-এ ক্লিক করুন। এখন Username-এর ডান পাশের change-এ ক্লিক করুন। Username বক্সে নাম লিখে (কমপক্ষে পাঁচটি বর্ণের) Check availability বাটনে ক্লিক করুন। নামটি ফাঁকা থাকলে Confirm-এ ক্লিক করুন আর ফাঁকা না থাকলে নাম পরিবর্তন করে আবার চেষ্টা করুন। ধরুন, আপনি ইউজারনেম নির্বাচন করেছেন Carzon, তাহলে আপনার ফেসবুকের ঠিকানা হবে www.facebook.com/Carzon।
রবিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১০
কার্জন (ডট) টিকে তে এখন পেজ লোড এর সময় দেখায়।
আমি সবসময় চেস্টা করি এমন কিছু করতে যা সব পাঠকের ভালো লাগে এবং খুব সহজে যেন আমার ব্লগের আনাচে কানাচে ঘুরতে পারে। আজ আমি আমার ব্লগে পেজ় লোড এর সময় দেখানোর উইজেট লাগিয়েছি। অনেকেই আমাকে বলেছিলো এটা করার জন্য কিন্তু এতদিন করতে পারিনি, আজ করেছি। আর এর জন্য আমি বিশেষ করে ধন্যবাদ দিব রিয়া আপুকে। কারন আমি আজ তার ব্লগের পোস্ট পড়তে পড়তে এই উইজেট টা পেয়ে যাই। আপনারা যারা এই উইজেট টা আপনাদের ব্লগে এড করতে চান তারা Page load timer script: show your page loading time এখানে ক্লিক করলেই রিয়া আপুর ব্লগে পোস্ট টা পেয়ে যাবেন। তারপরেও যদি কোনো সমস্যা হয় আমাকে জানাবেন। আশা করি এটা আপনাদের ভালো লাগবে। (একবার ভেবেছিলাম আমি কোড টা এখানে দিয়ে পরে রিয়া আপুর লিঙ্ক দিয়ে দিব। পরে ভাবলাম কি দরকার কপি পেস্ট করে তাই শুধু লিঙ্ক টা দিলাম)
বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১০
এডসেন্স ছাড়াও অনলাইনে টাকা কামানো যায়
আপনারা যারা এডসেন্স এক্টিভ করতে পারেন নি বা ব্যান হয়েছেন তাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আপনারা চাইলে Clicksor ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনি মানসম্মত এড পাবেন। আমার মতে এডসেন্স এর পর বাংলাদেশ এ clicksor ব্যবহার করাই ভালো। আপনি যখন এটা রেজিস্ট্রেশন করবেন তখন আপনার একাউন্ট ভেরিফাই করার জন্য ৩-৪ দিন সময় নিবে। মনে রাখবেন আপনার সাইটের ভিজিটর কম হলে কিন্তু clicksor ব্যবহার করতে পারবেন না।
বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১০
পেনড্রাইভে ভাইরাস আক্রান্ত ফাইল পুনরুদ্ধার
অনেক সময় দেখা যায় পেনড্রাইভে ভরে দরকারি কোনো ফাইল নিয়ে গেলেন প্রিন্ট করার জন্য। তখন আপনার পেনড্রাইভটি নিয়ে ভালো কোনো কম্পিউটারে (যে কম্পিউটারে ভাইরাস নেই এবং সাম্প্রতিকতম অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার আছে) পরীক্ষা করবেন। পরীক্ষা বা স্ক্যান করার সময় হয়তো দেখা গেল পেনড্রাইভে ভাইরাস বা ওয়ার্ম রয়েছে। ভাইরাস আক্রান্ত কিছু ফাইলকে অ্যান্টিভাইরাস মুছে দিতে পারে।স্ক্যান শেষ হওয়ার পর পেনড্রাইভ ফাঁকা দেখাতে পারে।অর্থাৎ পেনড্রাইভে কিছুই নেই।
ভয়ের কিছু নেই।এমন হলে পেনড্রাইভে মাউসের ডান ক্লিক করে প্রোপার্টিজে গিয়ে দেখা যাবে, পেনড্রাইভে কিছু ফাইল বা ডেটা আছে কিন্তু সেগুলো দেখা যাচ্ছে না। সেগুলো দেখার জন্য My Computer-এর মেনুবারের Tools থেকে Folder options নির্বাচন করে View-এ ক্লিক করুন। এখন Show hidden files and folders-এ টিক চিহ্ন দিন এবং Hide extensions.. এবং Hide protected.. বক্স থেকে টিক চিহ্ন তুলে দিয়ে OK করুন। এখন দেখবেন পেনড্রাইভে আপনার ফাইল, ফোল্ডারগুলো লুকানো অবস্থায় দেখা যাচ্ছে এবং সেগুলো ভালো আছে, নষ্ট হয়নি। পেনড্রাইভে করে কোনো ফাইল বা ফোল্ডার অন্য কোনো কম্পিউটারে নিতে চাইলে সেগুলো জিপ করে নেবেন। জিপ করা ফাইল বা ফোল্ডারে ভাইরাস আক্রমণ করে না। কোনো ফাইল বা ফোল্ডার জিপ করতে চাইলে সেটিতে ডান ক্লিক করে Send to Compressed (Zipped)-এ ক্লিক করুন। দেখবেন জিপ হয়ে গেছে। আবার আনজিপ করতে চাইলে সেটিতে মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Extract All-এ ক্লিক করে পরপর দুবার Next-এ ক্লিক করতে হবে।
জিমেইলে স্বয়ংক্রিয় ই-মেইল উত্তর
ছুটিতে বা কোনো কারণে নির্দিষ্ট কিছুদিন মেইল চেক করতে না পারলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেইলপ্রাপ্তির কথা জানানো যায় Vacation responder দিয়ে। ভ্যাকেশন রেস্পন্ড করার সুবিধা প্রায় সব মেইলেরই রয়েছে। তবে আলাদা আলাদা প্রেরককে আলাদা আলাদা উত্তর দেওয়ার সুবিধা যুক্ত করল জিমেইল। এ সুবিধাটির নাম হচ্ছে ক্যান্ড রেস্পন্স। ক্যান্ড রেস্পন্স সক্রিয় করতে Settings থেকে Labs ট্যাবে গিয়ে Canned Responses-এর Enable রেডিও বাটন ক্লিক করে সংরক্ষণ (সেভ) করুন।
এবার কম্পোজ মেইলে গেলে Canned Response দেখা যাবে। ক্যান্ড রেস্পন্স তৈরি করতে কম্পোজ মেইলে Canned Response-এর ড্রপ-ডাউন থেকে New canned response-এ ক্লিক করে পছন্দের নাম দিয়ে Ok করে সংরক্ষণ করুন। এবার কম্পোজ মেইলের বডিতে দরকারি কিছু লিখে Canned Response-এর ড্রপ-ডাউন থেকে Save-এর নিচের সেভ থাকা ক্যান্ডে ক্লিক করলে ওই ক্যান্ডে মেসেজ সংরক্ষণ হবে। ফিল্টার তৈরি করে ক্যান্ড রেস্পন্স সেট করতে Search the Web বাটনের ডানে Create a filter-এ ক্লিক করে বা Settings থেকে Filters ট্যাবে গিয়ে Create a new filter-এ ক্লিক করে অথবা মেইলের ওপরের ডানের ড্রপ-ডাউনের Filter massages like this-এ ক্লিক করে Create a Filter আনতে হবে। এখানে ফিল্টার তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য লিখে Next Step বাটনে ক্লিক করুন। এবার Send canned response:-এ সেভ থাকা ক্যান্ড নির্বাচন করে অন্যান্য চেকবক্স প্রয়োজনে চেক করে Create Filter বাটনে ক্লিক করে ফিল্টার তৈরি শেষ করুন। এখন থেকে ফিল্টার করা মেইল ঠিকানা থেকে মেইল এলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্যান্ডের মেইল রিপ্লে হবে। এভাবে ইচ্ছামতো আরও Canned Response এবং ফিল্টার তৈরি করা যাবে।
সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১০
উইন্ডোজ এক্সপিতে পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে
আপনার কম্পিউটারের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলেও ইচ্ছা করলে আপনার কম্পিউটার চালু করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে কম্পিউটার যখন পাসওয়ার্ড চাইবে তখন কিবোর্ড থেকে Ctrl+Alt চেপে ধরে পরপর দুবার Delete চাপুন। দেখবেন নতুন একটি উইন্ডো এসেছে। সেটিতে User name-এ administrator লিখে ok করুন। দেখবেন কম্পিউটারটি চালু হয়েছে। তবে আপনি যদি অপারেটিং সিস্টেম সেটআপ দেওয়ার সময় পাসওয়ার্ড দিয়ে থাকেন অর্থাৎ আপনার কম্পিউটারের administrator-এর পাসওয়ার্ড দেওয়া থাকে, তাহলে কম্পিউটার চালু হবে না। এ ক্ষেত্রে নতুন করে আবার অপারেটিং সিস্টেম সেটআপ দিতে হবে। আর কম্পিউটারের Bios-এ যদি পাসওয়ার্ড দেওয়া থাকে, তাহলে মাদারবোর্ডের ব্যাটারি খুলে আবার লাগালে পাসওয়ার্ড মুছে যাবে।
বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট, ২০১০
ডাউনলোড এ দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন
রাতে ইন্টারনেটের গতি বেশি পাওয়ায় অনেকেই কম্পিউটারে বিভিন্ন ফাইল কিংবা অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস নামানো শুরু করে (ডাউনলোড) ঘুমিয়ে পড়েন। ফাইল নামানো শেষ হলে কম্পিউটার চলতেথাকে এবং তা আবার ঘুম থেকে ওঠে কম্পিউটার বন্ধ করতে হয়। না হলে সারা রাত কম্পিউটার চালু থাকে এবং এতে অনেক বিদ্যুৎ অপচয় হয়।
এ কাজটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা যায়।খুব সহজেই কাজটি করা যাবে Free Download Manager সফটওয়্যার দিয়ে।এই সফটওয়্যারটি দিয়ে খুব দ্রুত নামানো যায় এবং এটি Resume সমর্থন করে। ৬ মেগাবাইটের এই সফটওয়্যারটি বিনা মূল্যে নামিয়ে (ডাউনলোড) নিন।এবার সফটওয়্যারটি আপনার কম্পিউটারে ইনস্টল করে নিন।
এখন সফটওয়্যারটি খুলে এর ওপরে Tools থেকে Shutdown computer when done-এ ক্লিক করুন। এখন থেকে এই সফটওয়্যারটি দিয়ে কোনো কিছু নামালে নামানোর কাজটি শেষ হলে নিজে থেকেই কম্পিউটার বন্ধ হয়ে যাবে।
এই অপশনটি বাদ দিতে চাইলে একইভাবে আবার Tools থেকে Shutdown computer when done-এ ক্লিক করুন।
এ কাজটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা যায়।খুব সহজেই কাজটি করা যাবে Free Download Manager সফটওয়্যার দিয়ে।এই সফটওয়্যারটি দিয়ে খুব দ্রুত নামানো যায় এবং এটি Resume সমর্থন করে। ৬ মেগাবাইটের এই সফটওয়্যারটি বিনা মূল্যে নামিয়ে (ডাউনলোড) নিন।এবার সফটওয়্যারটি আপনার কম্পিউটারে ইনস্টল করে নিন।
এখন সফটওয়্যারটি খুলে এর ওপরে Tools থেকে Shutdown computer when done-এ ক্লিক করুন। এখন থেকে এই সফটওয়্যারটি দিয়ে কোনো কিছু নামালে নামানোর কাজটি শেষ হলে নিজে থেকেই কম্পিউটার বন্ধ হয়ে যাবে।
এই অপশনটি বাদ দিতে চাইলে একইভাবে আবার Tools থেকে Shutdown computer when done-এ ক্লিক করুন।
বুয়েট এ ভর্তি হতে চাইলে কি করতে হবে?
ভর্তি পরীক্ষার উদ্দেশ্য হলো সেরাদের সেরা বাছাই করা। আর বুয়েট ভর্তি পরীক্ষা মানেই তো অন্য কিছু। দেশসেরা শিক্ষার্থীদের ভর্তিযুদ্ধ রূপ নেয় মহারণে। পছন্দের বিষয় পেতে হলে কিন্তু মেধাতালিকায় এগিয়ে থাকতে হবে। ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকসের কথাই ধরা যাক। প্রথম ২০০ জনের মধ্যে থাকলে এ বিষয়টি পেতে পারো। তাই বলে ভেব না, বুয়েটের অন্য বিষয়গুলো কম জনপ্রিয়।
এত্ত সহজ নয়
বুয়েটের আসনসংখ্যা ৯৬৫। এর মধ্যে উপজাতি ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য চারটি আসন সংরক্ষিত থাকে। বুয়েটে ভর্তির ক্ষেত্রে ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় পদার্থ, রসায়ন, গণিত ও ইংরেজি_এ চারটি বিষয়ের জিপিএর যোগফল ১৯ চাওয়া হয়েছিল। জিসিই ও লেভেলের ছাত্রদের ক্ষেত্রে পদার্থ, রসায়ন, গণিত, ইংরেজি_এ চারটি বিষয়সহ পাঁচটি বিষয়ে কমপক্ষে বি গ্রেড থাকতে হবে। জিসিই এ লেভেলের ক্ষেত্রে গণিত, পদার্থ, রসায়নে এ গ্রেড ও অন্যান্য বিষয়ে নূ্যনতম বি গ্রেড থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসি কোনোটিতেই জিপিএ ৪-এর নিচে হলে আবেদন করতে পারবে না।
মূল পরীক্ষা লিখিতই
৬০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় যারা ভালো করবে তারাই ভর্তির সুযোগ পাবে দেশসেরা এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। গণিত, পদার্থ, রসায়ন, ইংরেজি_এ চারটি বিষয়ের ওপর প্রশ্ন করা হবে। পরীক্ষার নম্বর-বিন্যাস পদার্থ ১৮০, রসায়ন ১৮০, গণিত ১৮০, ইংরেজি ৬০। পদার্থ, গণিত ও রসায়ন এই তিনটি বিষয়ের প্রতিটিতে নয়টি লিখিত ও ৩৬টি এমসিকিউ প্রশ্ন থাকে। ইংরেজিতে তিনটি লিখিত ও ১২টি এমসিকিউ প্রশ্ন থাকে। প্রতিটি লিখিত প্রশ্নে ১০ নম্বর ও এমসিকিউ প্রশ্নে ২.৫ নম্বর থাকে। নৈর্ব্যক্তিকে ভুল উত্তরের জন্য ২৫ শতাংশ নম্বর কাটা যাবে। সময় তিন ঘণ্টা। প্রথম দেড় ঘণ্টা রচনামূলক ও পরের দেড় ঘণ্টা নৈর্ব্যক্তিক। মাঝে ১৫ মিনিটের বিরতি। সুতরাং সময় বণ্টনও খুব গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষার হলে অনেকেরই প্রশ্ন বুঝতে বুঝতেই সময় চলে যায়। প্রথম পাঁচ মিনিট প্রশ্ন খুব ভালো করে পড়তে হবে। শুধু মেধাবী হলেই হবে না, পরীক্ষায় বুদ্ধি ও কৌশলেও এগিয়ে থাকতে হবে। যে যত বেশি টেকনিক জানে, সেই ভর্তি পরীক্ষায় তত ভালো করতে পারে।
পদার্থের জন্য একাধিক বই
পদার্থবিজ্ঞানের জন্য একটা বই পড়লেই হবে_এ কথাটি যদি বিশ্বাস করো, তাহলে খুব ভুল করবে। এর জন্য দু-তিনটি বই পড়তে হবে। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের তপন, ইসহাক, গিয়াস স্যারের বইয়ের অঙ্কগুলো সমাধান করতে হবে। খুব দ্রুত অঙ্ক কষার অভ্যাস করতে হবে। গাণিতিক সমস্যার সমাধান ক্যালকুলেটরেই করতে হবে। খাতায় জায়গা থাকবে না। অঙ্কগুলো একটু ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। তাই খুব দ্রুত অঙ্ক বোঝার ক্ষমতা থাকতে হবে। পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র মনে রাখতে পারলে আর কোনো ভয় নেই। আর থিওরিগুলো সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে। কোনো বিষয় না বুঝলে সিনিয়র কারো সাহায্য নিতে পারো।
রসায়নের প্রতিটি অধ্যায়
রসায়ন যত বেশি চর্চা করবে, তত ভালো করতে পারবে। এ বিষয়ের প্রস্তুতির জন্য উচ্চ মাধ্যমিকের হাজারী নাগ, কবির ইসলাম স্যারের বই দুটি ভালোভাবে পড়তে হবে। প্রথম পত্র থেকে গাণিতিক সমস্যা আসবে। সমস্যাগুলো সমাধান করতে হবে। বিক্রিয়াগুলো ভালোভাবে বুঝতে হবে। বিভিন্ন প্রস্তুতি, সংকেত, রূপান্তর, বিক্রিয়া ইত্যাদির ছক করে নিলে মনে রাখতে সুবিধা হবে। ছোট বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে। দ্বিতীয় পত্রে খুব সতর্ক থাকতে হবে। এখান থেকেই প্রশ্ন হবে বেশি। দ্বিতীয় পত্রে প্রচুর বিক্রিয়া, পরীক্ষাগার প্রস্তুতি, শিল্পোৎপাদন, সংকেত, রূপান্তর পড়তে হবে। এ ক্ষেত্রে হাইড্রোকার্বন, অ্যামিন, অ্যারোমেটিক যৌগগুলোর রসায়ন, জৈব যৌগের সূচনা, অ্যালডিহাইড, কিটোন অধ্যায়গুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। জৈব রসায়নের প্রতিটি অধ্যায় ধারাবাহিকভাবে পড়ে যেতে হবে। 'একটা অধ্যায় ফেলে আরেকটা অধ্যায় পড়া'_এটা কোনোভাবেই করা যাবে না।
গণিতে বারবার চর্চা
পদার্থের মতো এখানেও দু-তিনটি বইয়ের অঙ্ক করতে পারলে ভালো। গণিত প্রথম পত্রে জটিল সংখ্যা, ত্রিকোণমিতির ওপর জোর দিতে হবে। ত্রিকোণমিতির সূত্রগুলোর একটার সঙ্গে আরেকটার যোগসূত্র আছে। দ্বিতীয় পত্রে বলবিদ্যার ক্ষেত্রে একই কথা। বলবিদ্যার অঙ্কগুলো বুঝে করতে হবে। আফসার উজ জামান স্যারের বইয়ের অঙ্কগুলো করতে পারো। ক্যালকুলাসের সূত্রগুলো মনে রাখতে হবে।
ইংরেজিতে আগের পড়াই
ইংরেজিতে দুটি কমপ্রিহেনশন, আট-দশটি ফ্রেজ ও ইডিয়মস এবং শূন্যস্থান পূরণ থাকে। মূল প্যাসেজটি ভালোভাবে বুঝতে পারলে কমপ্রিহেনশনের প্রশ্নগুলোর উত্তর সহজেই করা যায়। শূন্যস্থান পূরণও বেশ সহজ। তবে ফ্রেজ ও ইডিয়মস একটু কঠিন হয়। এর জন্য শিক্ষার্থীদের ফ্রেজ ও ইডিয়মস ভালোভাবে পড়তে হবে। স্থাপত্য বিষয়ের জন্য আরো ৪০০ নম্বরের মুক্তহস্ত অঙ্কন পরীক্ষা দিতে হয়।
শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
বিগত বছরের প্রশ্নগুলো সমাধান করবে। এতে যেমন পরীক্ষার প্রশ্ন সম্বন্ধে ধারণা তৈরি হয়, তেমনি আত্মবিশ্বাস বাড়ে। বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে মডেল টেস্ট দিতে পারো। এতে নিজেকে যাচাই করে নিতে পারবে। সাজেশনভিত্তিক পড়াশোনা করা যাবে না। যারা মনে করছে, শেষ মুহূর্তে সাজেশন ধরে প্রস্তুতি নেবে, তাদের উদ্দেশে বলব, বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়াটাই বৃথা হবে। অনেকেই বিভিন্ন গাইড বইয়ের ওপর নির্ভর করে প্রস্তুতি নেয়। এটা আদতে কোনো সুফলই বয়ে আনবে না। মূল বইয়ের কোনো বিকল্প নেই_এ কথাটি বারবার মনে করিয়ে দিই।
অনেকেই পড়ার চাপ কুলাতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। শেষমেশ আর পরীক্ষাই দিতে পারে না। এ বিষয়টা মাথায় রাখবে। ভর্তি পরীক্ষার আগের কয়েকটা দিন মনকে প্রফুল্ল রাখতে হবে। বই পড়া, টেলিভিশন দেখা, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটানোর মাধ্যমে নিজেকে চাঙ্গা রাখতে পারো। পরীক্ষার আগের রাতে একটু আগেভাগেই ঘুমিয়ে পড়বে।
ভর্তি তোমার ঠেকায় কে!
পরীক্ষার দিন খুব ফুরফুরে মন নিয়ে পরীক্ষা দিতে যাবে। ক্যালকুলেটর, পেনসিল, রাবার, কলম, অ্যাডমিট কার্ড ঠিকমতো নিয়েছ কি না দেখে নেবে। অনেকে উত্তেজনাবশে অ্যাডমিট কার্ড ফেলেই পরীক্ষা দিতে চলে যায়। পরীক্ষার খাতায় ঠিকঠাক মতো রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও রোল নম্বর ঠিকমতো লিখবে। আর একটি কথা! অনেকেই ভর্তি পরীক্ষার আগে হীনম্মন্যতায় ভোগে। ভাবে, এত মেধাবীদের ভিড়ে টিকব কী করে! এই ভ্রান্ত ধারণা ঝেড়ে ফেলে আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। এত দিনের প্রস্তুতি তোমার। তোমার ভর্তি ঠেকায় কে! বিস্তারিত তথ্যের জন্য বুয়েটের ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারতে পারো। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৩০ অক্টোবর।
এত্ত সহজ নয়
বুয়েটের আসনসংখ্যা ৯৬৫। এর মধ্যে উপজাতি ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য চারটি আসন সংরক্ষিত থাকে। বুয়েটে ভর্তির ক্ষেত্রে ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় পদার্থ, রসায়ন, গণিত ও ইংরেজি_এ চারটি বিষয়ের জিপিএর যোগফল ১৯ চাওয়া হয়েছিল। জিসিই ও লেভেলের ছাত্রদের ক্ষেত্রে পদার্থ, রসায়ন, গণিত, ইংরেজি_এ চারটি বিষয়সহ পাঁচটি বিষয়ে কমপক্ষে বি গ্রেড থাকতে হবে। জিসিই এ লেভেলের ক্ষেত্রে গণিত, পদার্থ, রসায়নে এ গ্রেড ও অন্যান্য বিষয়ে নূ্যনতম বি গ্রেড থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসি কোনোটিতেই জিপিএ ৪-এর নিচে হলে আবেদন করতে পারবে না।
মূল পরীক্ষা লিখিতই
৬০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় যারা ভালো করবে তারাই ভর্তির সুযোগ পাবে দেশসেরা এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। গণিত, পদার্থ, রসায়ন, ইংরেজি_এ চারটি বিষয়ের ওপর প্রশ্ন করা হবে। পরীক্ষার নম্বর-বিন্যাস পদার্থ ১৮০, রসায়ন ১৮০, গণিত ১৮০, ইংরেজি ৬০। পদার্থ, গণিত ও রসায়ন এই তিনটি বিষয়ের প্রতিটিতে নয়টি লিখিত ও ৩৬টি এমসিকিউ প্রশ্ন থাকে। ইংরেজিতে তিনটি লিখিত ও ১২টি এমসিকিউ প্রশ্ন থাকে। প্রতিটি লিখিত প্রশ্নে ১০ নম্বর ও এমসিকিউ প্রশ্নে ২.৫ নম্বর থাকে। নৈর্ব্যক্তিকে ভুল উত্তরের জন্য ২৫ শতাংশ নম্বর কাটা যাবে। সময় তিন ঘণ্টা। প্রথম দেড় ঘণ্টা রচনামূলক ও পরের দেড় ঘণ্টা নৈর্ব্যক্তিক। মাঝে ১৫ মিনিটের বিরতি। সুতরাং সময় বণ্টনও খুব গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষার হলে অনেকেরই প্রশ্ন বুঝতে বুঝতেই সময় চলে যায়। প্রথম পাঁচ মিনিট প্রশ্ন খুব ভালো করে পড়তে হবে। শুধু মেধাবী হলেই হবে না, পরীক্ষায় বুদ্ধি ও কৌশলেও এগিয়ে থাকতে হবে। যে যত বেশি টেকনিক জানে, সেই ভর্তি পরীক্ষায় তত ভালো করতে পারে।
পদার্থের জন্য একাধিক বই
পদার্থবিজ্ঞানের জন্য একটা বই পড়লেই হবে_এ কথাটি যদি বিশ্বাস করো, তাহলে খুব ভুল করবে। এর জন্য দু-তিনটি বই পড়তে হবে। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের তপন, ইসহাক, গিয়াস স্যারের বইয়ের অঙ্কগুলো সমাধান করতে হবে। খুব দ্রুত অঙ্ক কষার অভ্যাস করতে হবে। গাণিতিক সমস্যার সমাধান ক্যালকুলেটরেই করতে হবে। খাতায় জায়গা থাকবে না। অঙ্কগুলো একটু ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। তাই খুব দ্রুত অঙ্ক বোঝার ক্ষমতা থাকতে হবে। পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র মনে রাখতে পারলে আর কোনো ভয় নেই। আর থিওরিগুলো সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে। কোনো বিষয় না বুঝলে সিনিয়র কারো সাহায্য নিতে পারো।
রসায়নের প্রতিটি অধ্যায়
রসায়ন যত বেশি চর্চা করবে, তত ভালো করতে পারবে। এ বিষয়ের প্রস্তুতির জন্য উচ্চ মাধ্যমিকের হাজারী নাগ, কবির ইসলাম স্যারের বই দুটি ভালোভাবে পড়তে হবে। প্রথম পত্র থেকে গাণিতিক সমস্যা আসবে। সমস্যাগুলো সমাধান করতে হবে। বিক্রিয়াগুলো ভালোভাবে বুঝতে হবে। বিভিন্ন প্রস্তুতি, সংকেত, রূপান্তর, বিক্রিয়া ইত্যাদির ছক করে নিলে মনে রাখতে সুবিধা হবে। ছোট বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে। দ্বিতীয় পত্রে খুব সতর্ক থাকতে হবে। এখান থেকেই প্রশ্ন হবে বেশি। দ্বিতীয় পত্রে প্রচুর বিক্রিয়া, পরীক্ষাগার প্রস্তুতি, শিল্পোৎপাদন, সংকেত, রূপান্তর পড়তে হবে। এ ক্ষেত্রে হাইড্রোকার্বন, অ্যামিন, অ্যারোমেটিক যৌগগুলোর রসায়ন, জৈব যৌগের সূচনা, অ্যালডিহাইড, কিটোন অধ্যায়গুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। জৈব রসায়নের প্রতিটি অধ্যায় ধারাবাহিকভাবে পড়ে যেতে হবে। 'একটা অধ্যায় ফেলে আরেকটা অধ্যায় পড়া'_এটা কোনোভাবেই করা যাবে না।
গণিতে বারবার চর্চা
পদার্থের মতো এখানেও দু-তিনটি বইয়ের অঙ্ক করতে পারলে ভালো। গণিত প্রথম পত্রে জটিল সংখ্যা, ত্রিকোণমিতির ওপর জোর দিতে হবে। ত্রিকোণমিতির সূত্রগুলোর একটার সঙ্গে আরেকটার যোগসূত্র আছে। দ্বিতীয় পত্রে বলবিদ্যার ক্ষেত্রে একই কথা। বলবিদ্যার অঙ্কগুলো বুঝে করতে হবে। আফসার উজ জামান স্যারের বইয়ের অঙ্কগুলো করতে পারো। ক্যালকুলাসের সূত্রগুলো মনে রাখতে হবে।
ইংরেজিতে আগের পড়াই
ইংরেজিতে দুটি কমপ্রিহেনশন, আট-দশটি ফ্রেজ ও ইডিয়মস এবং শূন্যস্থান পূরণ থাকে। মূল প্যাসেজটি ভালোভাবে বুঝতে পারলে কমপ্রিহেনশনের প্রশ্নগুলোর উত্তর সহজেই করা যায়। শূন্যস্থান পূরণও বেশ সহজ। তবে ফ্রেজ ও ইডিয়মস একটু কঠিন হয়। এর জন্য শিক্ষার্থীদের ফ্রেজ ও ইডিয়মস ভালোভাবে পড়তে হবে। স্থাপত্য বিষয়ের জন্য আরো ৪০০ নম্বরের মুক্তহস্ত অঙ্কন পরীক্ষা দিতে হয়।
শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
বিগত বছরের প্রশ্নগুলো সমাধান করবে। এতে যেমন পরীক্ষার প্রশ্ন সম্বন্ধে ধারণা তৈরি হয়, তেমনি আত্মবিশ্বাস বাড়ে। বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে মডেল টেস্ট দিতে পারো। এতে নিজেকে যাচাই করে নিতে পারবে। সাজেশনভিত্তিক পড়াশোনা করা যাবে না। যারা মনে করছে, শেষ মুহূর্তে সাজেশন ধরে প্রস্তুতি নেবে, তাদের উদ্দেশে বলব, বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়াটাই বৃথা হবে। অনেকেই বিভিন্ন গাইড বইয়ের ওপর নির্ভর করে প্রস্তুতি নেয়। এটা আদতে কোনো সুফলই বয়ে আনবে না। মূল বইয়ের কোনো বিকল্প নেই_এ কথাটি বারবার মনে করিয়ে দিই।
অনেকেই পড়ার চাপ কুলাতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। শেষমেশ আর পরীক্ষাই দিতে পারে না। এ বিষয়টা মাথায় রাখবে। ভর্তি পরীক্ষার আগের কয়েকটা দিন মনকে প্রফুল্ল রাখতে হবে। বই পড়া, টেলিভিশন দেখা, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটানোর মাধ্যমে নিজেকে চাঙ্গা রাখতে পারো। পরীক্ষার আগের রাতে একটু আগেভাগেই ঘুমিয়ে পড়বে।
ভর্তি তোমার ঠেকায় কে!
পরীক্ষার দিন খুব ফুরফুরে মন নিয়ে পরীক্ষা দিতে যাবে। ক্যালকুলেটর, পেনসিল, রাবার, কলম, অ্যাডমিট কার্ড ঠিকমতো নিয়েছ কি না দেখে নেবে। অনেকে উত্তেজনাবশে অ্যাডমিট কার্ড ফেলেই পরীক্ষা দিতে চলে যায়। পরীক্ষার খাতায় ঠিকঠাক মতো রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও রোল নম্বর ঠিকমতো লিখবে। আর একটি কথা! অনেকেই ভর্তি পরীক্ষার আগে হীনম্মন্যতায় ভোগে। ভাবে, এত মেধাবীদের ভিড়ে টিকব কী করে! এই ভ্রান্ত ধারণা ঝেড়ে ফেলে আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। এত দিনের প্রস্তুতি তোমার। তোমার ভর্তি ঠেকায় কে! বিস্তারিত তথ্যের জন্য বুয়েটের ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারতে পারো। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৩০ অক্টোবর।
পেনড্রাইভ ফরম্যাট হচ্ছে না?
কম্পিউটারে ভাইরাস আক্রমণ করলে অনেক সময় পেনড্রাইভ ফরম্যাট করা যায় না।তবে এমন পরিস্থিতিতেও পেনড্রাইভ ফরম্যাট করা যায়। এ জন্য Start থেকে Control Panel-এ গিয়ে Administrative tools-এ দুই ক্লিক করুন। তারপর Computer Management-এ দুবার ক্লিক করুন। এখন বাঁ পাশ থেকে Disk Management-এ ক্লিক করলে ডান পাশে পেনড্রাইভসহ সব কটি ড্রাইভের লিস্ট আসবে। সেখান থেকে পেনড্রাইভের ওপর মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে ফরম্যাট করলে পেনড্রাইভ ফরম্যাট হবে।
বুধবার, ২৫ আগস্ট, ২০১০
স্বচ্ছ প্রাণীর কেচ্ছা
পেটের ভেতরের নাড়িভুড়ি, পাকস্থলী, কিডনি সব যদি বাইরে থেকে দেখা যেত! আঁতকে ওঠার কিছু নেই, এমন প্রাণীও আছে। কাচের মতো স্বচ্ছ ওই প্রাণীগুলোর শরীরে কাটাছেঁড়া না করেই দেখা যায় ভেতরের সব।
কাচ ব্যাঙ
ভেনিজুয়েলার স্থানীয় 'গ্লাস ফ্রগ' তথা কাচ ব্যাঙকে দেখে ভূত বলে চমকে উঠতে পারেন যে কেউ। হালকা সবুজ চামড়ার ব্যাঙটির পেটের চামড়া বেশি স্বচ্ছ হওয়ার ফলে ভেতরের হৃৎপিণ্ড, পাকস্থলীসহ প্রায় সব অঙ্গই বাইরে থেকে দেখা যায়।
কোথায় পেলে ভাই!
পাখার ভেতর দিয়ে দেখা যাবে ওপাশের সব। বিচিত্র এ প্রজাপতির নাম গ্লাসউইং। বাংলায় কাচপাখা প্রজাপতি। দেখা মেলে সেন্ট্রাল আমেরিকা, মেক্সিকো ও পানামায়। এর পাখার নালিকাগুলোর মাঝে যে কলা আছে, তা অনেকটা কাচের মতোই।
স্বচ্ছ মাথার বেরেলি
গভীর জলের আজব এ মাছটির রয়েছে স্বচ্ছ মাথা ও নলের মতো চোখ। চোখ দুটি ভীষণ আলোক-সংবেদী, যা মাথার ভেতরেই সবুজ লেন্সের নিচে যুক্ত থাকে। যখন মাছটি মাথার ওপর খাবার খুঁজতে থাকে, তখন চোখ দুটি থাকে ওপরে, আবার খাওয়ার সময় সেগুলো থাকে নিচে নামানো। মজার ব্যাপার হলো, মাছটির মুখের ওপরের দুটি দাগ কিন্তু চোখ নয়। এগুলো মানুষের নাকের মতো একটি ঘ্রাণ সংবেদী অঙ্গ, 'নারেস' নামে পরিচিত।
স্বচ্ছ স্কুইড
দক্ষিণ গোলার্ধের সাগরে পাওয়া যায় এ 'গ্লাস স্কুইড'। এদের চোখ আলোক-সংবেদী, যা কিনা বলের মতো ঘুরতেও পারে।
জেব্রাফিশ
২০০৮ সালে বিজ্ঞানীরা জিনেটিক প্রকৌশল খাটিয়ে 'জেব্রাফিশ' নামে এক ধরনের স্বচ্ছ মাছ তৈরি করেন। এর মাধ্যমে তাঁরা জীবন্ত প্রাণীদেহে টিউমার ও ক্যান্সারসহ অন্যান্য রোগের বিস্তার সহজে পর্যবেক্ষণ করতে পেরেছেন।
বরফ মাছ
অ্যান্টার্কটিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার দক্ষিণাংশের হিমশীতল পানিতে থাকে ক্রোকোডাইল আইসফিশ। রক্তে হিমোগ্লোবিন না থাকায় এদের রক্ত স্বচ্ছ। শরীরের সব কাজ চলে রক্তে দ্রবীভূত অক্সিজেনের সাহায্যে। ধারণা করা হয়, বরফের মতো ঠাণ্ডা পানির কারণেই এতে দ্রবীভূত অক্সিজেন সরাসরি ত্বকের মধ্য দিয়ে শোষিত হয়। পাঁচটি প্রজাতিতে আবার পেশির মিথোগ্লোবিন জিনটিও অনুপস্থিত। তাই গোলাপি হৃৎপিণ্ডের বদলে এদের আছে সাদা হৃৎপিণ্ড!
আজব ফ্রোনিমা
ফ্রোনিমা নামের আজব প্রাণীটি উত্তর আটলান্টিকের গভীর সমুদ্রে পাওয়া যায়। এর শরীরের ভেতর ও বাইরের সব এতটাই স্বচ্ছ যে এদের প্রায় চোখেই পড়ে না। সহজেই বেঁচে যায় শত্রুর হাত থেকে। কালের কন্ঠ থেকে নেয়া
কাচ ব্যাঙ
ভেনিজুয়েলার স্থানীয় 'গ্লাস ফ্রগ' তথা কাচ ব্যাঙকে দেখে ভূত বলে চমকে উঠতে পারেন যে কেউ। হালকা সবুজ চামড়ার ব্যাঙটির পেটের চামড়া বেশি স্বচ্ছ হওয়ার ফলে ভেতরের হৃৎপিণ্ড, পাকস্থলীসহ প্রায় সব অঙ্গই বাইরে থেকে দেখা যায়।
কোথায় পেলে ভাই!
পাখার ভেতর দিয়ে দেখা যাবে ওপাশের সব। বিচিত্র এ প্রজাপতির নাম গ্লাসউইং। বাংলায় কাচপাখা প্রজাপতি। দেখা মেলে সেন্ট্রাল আমেরিকা, মেক্সিকো ও পানামায়। এর পাখার নালিকাগুলোর মাঝে যে কলা আছে, তা অনেকটা কাচের মতোই।
স্বচ্ছ মাথার বেরেলি
গভীর জলের আজব এ মাছটির রয়েছে স্বচ্ছ মাথা ও নলের মতো চোখ। চোখ দুটি ভীষণ আলোক-সংবেদী, যা মাথার ভেতরেই সবুজ লেন্সের নিচে যুক্ত থাকে। যখন মাছটি মাথার ওপর খাবার খুঁজতে থাকে, তখন চোখ দুটি থাকে ওপরে, আবার খাওয়ার সময় সেগুলো থাকে নিচে নামানো। মজার ব্যাপার হলো, মাছটির মুখের ওপরের দুটি দাগ কিন্তু চোখ নয়। এগুলো মানুষের নাকের মতো একটি ঘ্রাণ সংবেদী অঙ্গ, 'নারেস' নামে পরিচিত।
স্বচ্ছ স্কুইড
দক্ষিণ গোলার্ধের সাগরে পাওয়া যায় এ 'গ্লাস স্কুইড'। এদের চোখ আলোক-সংবেদী, যা কিনা বলের মতো ঘুরতেও পারে।
জেব্রাফিশ
২০০৮ সালে বিজ্ঞানীরা জিনেটিক প্রকৌশল খাটিয়ে 'জেব্রাফিশ' নামে এক ধরনের স্বচ্ছ মাছ তৈরি করেন। এর মাধ্যমে তাঁরা জীবন্ত প্রাণীদেহে টিউমার ও ক্যান্সারসহ অন্যান্য রোগের বিস্তার সহজে পর্যবেক্ষণ করতে পেরেছেন।
বরফ মাছ
অ্যান্টার্কটিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার দক্ষিণাংশের হিমশীতল পানিতে থাকে ক্রোকোডাইল আইসফিশ। রক্তে হিমোগ্লোবিন না থাকায় এদের রক্ত স্বচ্ছ। শরীরের সব কাজ চলে রক্তে দ্রবীভূত অক্সিজেনের সাহায্যে। ধারণা করা হয়, বরফের মতো ঠাণ্ডা পানির কারণেই এতে দ্রবীভূত অক্সিজেন সরাসরি ত্বকের মধ্য দিয়ে শোষিত হয়। পাঁচটি প্রজাতিতে আবার পেশির মিথোগ্লোবিন জিনটিও অনুপস্থিত। তাই গোলাপি হৃৎপিণ্ডের বদলে এদের আছে সাদা হৃৎপিণ্ড!
আজব ফ্রোনিমা
ফ্রোনিমা নামের আজব প্রাণীটি উত্তর আটলান্টিকের গভীর সমুদ্রে পাওয়া যায়। এর শরীরের ভেতর ও বাইরের সব এতটাই স্বচ্ছ যে এদের প্রায় চোখেই পড়ে না। সহজেই বেঁচে যায় শত্রুর হাত থেকে। কালের কন্ঠ থেকে নেয়া
মঙ্গলবার, ২৪ আগস্ট, ২০১০
বি.কে.এস.পি তে আমার কিছুদিন
আমি তখন ক্লাশ ৩ তে পড়ি। আমার মা'র ইচ্ছা আমি যেন বি কে এস পি তে পড়ি। কিন্তু এই বয়সে তো কাউকে সেখানে নেয় না। তারপরেও আমার মা কি করে যেন ব্যবস্থা করে ফেলল। বি কে এস পি তে আমাকে 4 এ ভর্তি করা হল। আর আমার খেলা ছিল লং টেনিস। ক্লাশ ৭ এর পর আমি ক্রিকেট নিতে পারব। যা হোক আমাকে সবাই নিয়ে দিয়ে আসলো। এখন ট্রেনিং এর সময়। এক বিরাট হল রুমে ৩০ টা বেড। আমাকে আমার বেড দেখানো হল। আমি আমার বেড এ চুপ করে বসে আছি। এমন সময় একজন এসে আমাদের সবাই কে বলল সবাই যেন মিটিং রুম এ যাই, এখন মিটিং হবে। সবার সাথে আমি মিটিং রুম এ গেলাম। এখানে আমাদের কি করতে হবে কিভাবে থাকতে হবে তাই বুঝানো হল। এর পর আমি আমার বেড এ আসার পর সবাই আমাকে খুব আদর করতে লাগল। তখন আমি কিছুই পারতাম না। জুতার ফিতা বাধতে পারতাম না, মশারী বাধতে পারতাম না। সব তারাই করে দিতো। একজন এসে বলে গেলো রাতের খাবার খেতে যেতে হবে এখন। খাবার খেতেও নাকি লাইন ধরে যেতে হবে। আমি সবার ছোট তাই আমার সবার আগে যেতে হবে। লাইন ধরে হাটা শুরু করলাম। রাস্তা তো আর শেষ হয় না। প্রায় ১.৫ কিলোমিটার দূরে এক বিল্ডিং এ নিয়ে গেলো খাওয়ার জন্য। খাওয়াতে আবার কিছু জিনিস ছিলো বাধ্যতামুলক। যেমন ডিম, দুধ ইত্যাদি। এসব আবার আমি খেতে পারিনা। তাই এসব আমি লুকিয়ে লুকিয়ে পাশেরজন কে দিয়ে দিতাম। খাওয়া শেষ করে আবার লাইন ধরে রুম এ চলে আসলাম। এর আধা ঘন্টা পর এক মিস লাঠি নিয়ে এসে আমাদের দেখে গেলো। আমি তো ভয়ে শেষ। সেদিন থেকে এই মিস কে আমি যমের মত ভয় পাই। রাত আড়াইটার দিকে সবাই যখন ঘুমাচ্ছে তখন আমি আমার বিছানায় বসে কান্না করছি। আর মনে মনে বাবা আর মাকে ডাকছি। সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ ধুয়ে নাস্তা করে আসার পর শুনলাম কোচ আমাদের মাঠে ডেকেছেন। এখনি আমাদের পরীক্ষা হবে লং টেনিস এর উপর। আমি তো ভয়ে আধমরা হয়ে গিয়েছি। গেলাম মাঠে। গিয়ে তো আরো ভয় পেলাম। দেখি আকরাম খান, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, আমাদের কোচ (বিদেশী), আর সেই মিস। তারপর ইংলিশ এ কোচ অল্প কিছু কথা বলল (যার আগা মাথা আমি কিছুই বুঝি নাই) এবং কথা শেষ করে পরীক্ষা শুরু করল। পরীক্ষা টা ছিল নেট এর একপাশে দাড়াব, আর অন্যপাশ থেকে কোচ বল ছুড়বে। আমি সেই বল টা কে কোন এঙ্গেলে মাড়ি তাই দেখে আমাদের সিলেক্ট করবে। প্রথম ২ জন ভালো খেলেও বাদ পরল (আমার চোখে ভালো)। কিছুক্ষন পর আমার ডাক এলো। সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে। কোচ মনে হয় আমার মনের অবস্থা বুঝতে পেরেই বলটা আমার দিকে আলতো করে মারলেন। কিন্তু আমি রেকেট এ বল লাগাতেই পারলাম না। ২য় বল মিস!!! লাস্ট বল. . . . .. . কি ভাবছেন কোনো নাটকীয়তা? না!!! ৩য় বলও মিস। তারমানে আমার বাদ পরে যাওয়ার কথা। কিন্তু কি কারনে জানি কোচ আমাকে বাদ দিলেন না। তার টীম এ নিয়ে নিলেন এবং আমাকে এক্সটা কিছু সুবিধা দিলেন। (কি সুবিধা তা পরে বলব)
আজ এই পর্যন্ত
৩ মাসের ভালোবাসা আর সারাজীবনের অপেক্ষা
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। বয়সঃ ২১। ছেলে।
৬মাস আগে, আমি ফেসবুকে এক মেয়েকে অনলাইন এ দেখে সালাম দিলাম। আমার নিয়ম হল যার সাথে চ্যাট করব তাকে আগে সালাম দিব। যা হোক সে সালামের জবাব দিল। তারপর তার সাথে প্রায় ২ ঘন্টা চ্যাট করলাম। এক সময় আমি তার নাম্বার চাইলাম। সে এক শর্ত দিয়ে আমাকে নাম্বার দিল। শর্ত টা হল আমি যেন নাম্বার টা কারো সাথে শেয়ার না করি। আমি রাজি হলাম। যখন আমি নাম্বার টা ডায়াল
সোমবার, ২৩ আগস্ট, ২০১০
হায়রে বাংলাদেশ এর মানুষ!!!
কিছুদিন আগে আমি ফার্মগেট এর পার্ক এ ক্লাশ শেষ করে হাটছি। এমন সময় আমি দেখলাম একটা ঝোপের নিচে কে যেন শুয়ে আছে। আমি কৌতুহলবশত ভালো করে দেখার জন্য কাছে গেলাম। দেখতে পেলাম একটা মহিলা (ভিখারী) মরে পরে রয়েছে। তার শরীরের উপরে মাছি উরছে, পিপড়া ঘুরছে। তার পরনের কাপর অর্ধেক নাই। আমি সাথে সাথে একটা ছবি তুলে ফেললাম। আমি অবাক হয়ে দেখলাম এই লাশের পাশ দিয়ে অনেকেই হেটে যাচ্ছে এমনকি লাশের একটু সামনেই একটা মেয়ে ও ছেলে বসে গল্প করছে। আমি যখন তাদের কে দেখালাম তারা এটা দেখেই কাপর দিয়ে মুখ চাপা দিয়ে চলে গেল। তারপর আমি যখন গার্ড দেরকে বললাম তারা আমার কথার পাত্তাই দিল না। শেষে আমি ফার্মগেটের এক পুলিশ কে বিস্তারিত বললাম, প্রথমে সে খুব মনোযোগ দিয়ে আমার কথা শুনল। এর পর যখন আমি তাকে বললাম লাশ টা ১ ভিখারীর তারপর সেও আর পাত্তা দিল না আমাকে। আমাকে বলল আপনি চলে যান আমরা এটা পরে দেখছি। এর পর আমি আরো ২ ঘন্টা সেখানে ছিলাম। কিন্তু এর কোনো ব্যবস্থা হলো না।
আমি বাসায় এসে এই ছবিটা ফেসবুক এ দিয়ে বেশ কয়েকজন কে ট্যাগ করলাম। একজন এই ছবি নিয়ে ফান করল। আর কেউ কোনো কিছু লিখলনা! তাই আমি আরেকটা সুন্দরী মেয়ের ছবি সেই একই ইউজারদের ট্যাগ করলাম। তাদের সবাই ওই মেয়ের ছবিটাতে কমেন্ট করল। তাহলে আমরা কেন পুলিশ আর নিরাপত্তা কর্মীদের দোষ দেই? আপনারাই তো পাশ কেটে চলে যান। এটাই হয়তো বাঙ্গালীদের নিয়ম। আমি শুধু একটা কথাই বলব আগে নিজেকে বদলান।
আমি বাসায় এসে এই ছবিটা ফেসবুক এ দিয়ে বেশ কয়েকজন কে ট্যাগ করলাম। একজন এই ছবি নিয়ে ফান করল। আর কেউ কোনো কিছু লিখলনা! তাই আমি আরেকটা সুন্দরী মেয়ের ছবি সেই একই ইউজারদের ট্যাগ করলাম। তাদের সবাই ওই মেয়ের ছবিটাতে কমেন্ট করল। তাহলে আমরা কেন পুলিশ আর নিরাপত্তা কর্মীদের দোষ দেই? আপনারাই তো পাশ কেটে চলে যান। এটাই হয়তো বাঙ্গালীদের নিয়ম। আমি শুধু একটা কথাই বলব আগে নিজেকে বদলান।
রবিবার, ২২ আগস্ট, ২০১০
নিজের মনে কিছু কথা
আমার কাছে লিখতে কখনোই ভালো লাগেনা। আমার জীবনের একটা সময় আমি লিখতে চাইলাম। কিন্তু কি লিখব, কোথায় লিখব? ডায়েরী তে লিখলে মনে হয় কেউ এটা পরে ফেলবে। যখন আমি এসব নিয়ে ভাবতে শুরু করলাম তখন আমার এক বন্ধু আমাকে বলল ব্লগিং করতে। তখন আমি সারাদিন অনলাইনে পরে থাকতাম। এরপর আমি ভাবলাম যাই হোক দেখি একটু ব্লগে লিখে কেমন লাগে। তাই ব্লগ ওপেন করে শুরু করলাম নানা ব্লগে ঘুরা। কারন আমি দেখতে চেয়েছিলাম সবাই কেমন লিখা লিখে। যদি কেউ আমার ব্লগ দেখে হাসাহাসি করে তাহলে আমার খুব খারাপ লাগবে। আমি প্রথম ব্লগ দেখলাম শামীম ভাইয়ের। (আগে আমি ব্লগ দেখতাম না, দেখলেও পরতাম না) তারপর দেখলাম রিয়া আপুর ব্লগ এরপর বাংলাহ্যাক্স এবং হাসান ভাইয়ের ব্লগ। যদিও আমি আমার কথা লিখতে চেয়েছি কিন্তু বাংলাহ্যাক্স দেখে মনে হল যে আমি এমন কিছু করি যেটা তে সবার উপকার হবে। শুরু করলাম কার্জন ওয়েব। এখানে আমি পোস্ট করতে লাগলাম সবার কাজে লাগে এমন কিছু তথ্য। এখানে কিছু পোস্ট আছে অন্য ব্লগ থেকে কপি করা। আমি কপি করেছি এমন পোস্ট যা আমার কাছে মনে হয়েছে এটা সবার কাজে লাগবে। আমি যেখান থেকে যে পোস্ট কপি করেছি সেখান থেকে আমি অনুমতি নিয়ে করেছি। এটা আমার নিজেকে নিয়ে প্রথম পোস্ট। এতক্ষন আমি রিয়া আপুর ব্লগ টা পরছিলাম। তখনি আমার মনে হল আমার নিজের কিছু কথা লিখে দেই, তাই এই পোস্ট টা করলাম। আপনারা হয়ত মনে করতে পারেন পাগলের প্রলাপ। কিন্তু এটাই সত্য। আমার নিজেকে নিয়ে বলার মত কিছু নেই। তাই আমি আমার ব্লগ শুরু করার কথাটাই এখানে বললাম। যদি আমার কোনো ভুল থাকে তাহলে বলবেন। আমি এখন চাই সবসময় ব্লগে লিখতে।
শনিবার, ২১ আগস্ট, ২০১০
প্রাণী জগতের কিছু মজার তথ্য
- ষাঁড় বর্ণান্ধ। তাই ম্যাটাডোর ষাঁড়ের সামনে লাল কাপড় দোলালে ষাঁড় যে তাকে আক্রমণ করে তা কাপড়ের লাল রঙের জন্য নয় বরং চোখের সামনে কাপড়টির দুলুনির জন্য।
- বেড়াল মিষ্টি জিনিসের স্বাদ নিতে পারে না।
- বেড়াল তার গলা দিয়ে প্রায় ১০০ ধরনের আওয়াজ বের করতে পারে। কুকুর পারে মাত্র ১০ ধরনের।
- ফড়িংয়ের ছয়টি পা, কিন্তু এটি হাঁটতে পারে না।
- অল্প আলোয় কিংবা প্রবহমান পানিতে রাখলে গোল্ড ফিশের রং ফিকে হয়ে আসে। গবেষণায় দেখা গেছে, উষ্ণ পানি অপেক্ষা ঠান্ডা পানিতে গোল্ড ফিশের স্মরণশক্তি ভালো।
- হাঙর কীভাবে মাছ শিকার করে? তীক্ষ্ন শ্রবণশক্তির সাহায্যে এটি অন্য মাছের হূৎস্পন্দন শুনতে পায়।
- যেকোনো প্রজাতির কুকুরের মধ্যে গ্রেহাউন্ডের দৃষ্টিশক্তি সবচেয়ে ভালো।
- গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি গরিলার ওপর কাজ করে।
- হামিং বার্ড হাঁটতে পারে না।
- লবস্টার বা সামুদ্রিক গলদা চিংড়ির একটি চোখ নষ্ট হয়ে গেলে ওই স্থানে অন্য একটি চোখ গজায়।
- একটি শূকরের পক্ষে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকানো অসম্ভব।
- একটি গরুকে হাঁটিয়ে দোতলায় তোলা সম্ভব, কিন্তু দোতলা থেকে নিচ তলায় নামানো খুবই কঠিন।
- শজারুর হূদপিণ্ড প্রতি মিনিটে প্রায় ৩০০ বার স্পন্দিত হয়, যেখানে একজন মানুষের গড়পড়তা মিনিটে হূদস্পন্দনের হার ৭২ বার।
- কিলার হোয়েলের প্রতি মিনিটে হূদস্পন্দনের হার পানির নিচে ৩০ বার আর পানির ওপর ৬০ বার।
- কোয়ালা প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২২ ঘণ্টা ঘুমায়।
- মেরিন ক্যাট ফিশের শরীরের যেকোনো অংশ দিয়ে কোনো কিছুর স্বাদ নিতে পারে।
- মেরু ভালুকের চামড়া আসলে কালো আর এর লোমগুলো আসলে সাদা নয়—বর্ণহীন।
- ইঁদুরের শরীরের হাড় এতটাই নমনীয় যে, পাঁচতলা ভবনের ওপর থেকে পড়লেও এর বড় ধরনের আহত হওয়ার আশঙ্কা কম।
- ইঁদুর পানিবিহীন অবস্থায় একটি উটের প্রায় কাছাকাছি সময় বেঁচে থাকতে পারে।
- পূর্ণবয়স্ক একটি জিরাফের জিহ্বার দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬-১৭ ইঞ্চি লম্বা হয়ে থাকে।
- হাতির শুঁড়ে প্রায় ৪০ হাজার পেশি আছে, কিন্তু কোনো হাড় নেই।
- অস্ট্রিচের চোখ এর মস্তিষ্কের চেয়ে বড়।
- বাচ্চা তিমি প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১০ পাউন্ড করে বাড়ে।
- একটি গড়পড়তা অ্যালবাট্রস পাখির পাখার দৈর্ঘ্য প্রায় ১৪ ফুট লম্বা হয়। ইচ্ছা করলে পাখিটি কয়েক বছর একনাগাড়ে উড়ে বেড়াতে পারে।এদের একেকটি ভ্রমণ প্রায়হাজার মাইল দীর্ঘহয়ে থাকে।
- আমেরিকান হাসপাতালগুলোর তথ্যমতে—প্রতিবছর প্রায় ১০ লাখ আমেরিকান কুকুরের কামড়ের শিকার হয়।
- ডালমেশিয়ান জাতের কুকুরের আদি জন্মস্থান ক্রোয়েশিয়ার ডালমেশিয়ান উপকূলে। ডালমেশিয়ান হচ্ছে একমাত্র প্রজাতির কুকুর, যারা গেঁটে বাতে আক্রান্ত হয়।
- আমেরিকায় ৯৮৭ সালেগৃহপালিত প্রাণীর সংখ্যার দিক দিয়ে বেড়াল কুকুরকে ছাড়িয়েযায়।
- জাপানের হোক্কাইডোর ইশিকারি উপকূলে এ যাবৎ সবচেয়ে বড় পিঁপড়ার কলোনি আবিষ্কৃত হয়েছে। ২ দশমিক ৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই কলোনিতে পরস্পর সন্নিবেশিত সাড়ে চার হাজার পিঁপড়ার বাসায়এক মিলিয়ন রানি পিঁপড়া ও৩৭ মিলিয়ন কর্মী পিঁপড়ার বাস ছিল।
- বিশেষ এক ধরনের ফিতা কৃমি খাদ্যের অভাবে নিজেদের শরীর খাওয়া শুরু করে।
- ২০০১ সালে নিউজিল্যান্ডের জনসংখ্যা ছিল চার মিলিয়ন, কিন্তু একই সময় দেশটিতে ভেড়ার সংখ্যা ছিল ৪৪ মিলিয়ন।
- আপনি যদি একটি ক্যাঙারুর লেজ টেনে ওপরের দিকে তুলে রাখেন, তবে এটি লাফাতে পারবে না।কারণ, লাফানোর সময়লেজটি ক্যাঙারুর ভারসাম্য রক্ষার কাজে ব্যবহূত হয়।
- বিশ্বের সবচেয়ে বড় পাখিঅস্ট্রিচ। এটি প্রায় নয় ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়।
বিদ্যুত সমস্যা ও আগামীর বাংলাদেশ
বিদ্যুতের বিভ্রাট এই মূহুর্তে বাংলাদেশের জনজীবনে সবচেয়ে বড় মাথাব্যাথার কারন। শিল্প মালিক থেকে শুরু করে দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী নাগরিকটি পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় আছে। জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার দুই অংকের ঘর ছুতে পারছে না বিদ্যুত সংকটের জন্যে।প্রভাব ফেলছে মাথাপিছু গড় আয়ে। উন্নয়ন প্রক্রিয়া হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত্র। আর সেজন্যে কষে গাল দিচ্ছি আমরা প্রতিদিন সরকারকে। সড়ক অবরোধ থেকে শুরু করে বিদ্যুত অফিস ভাংচুর সবই সাম্প্রতিক চিত্র। কিন্তু কি কারনে এই সমস্যা এত ভয়াবহ রুপ নিয়েছে সেটা নিয়ে অনেকেই না জেনে আগডুম বাগডুম যা মনে আসে তাই বলি। যেহেতু এই খাতের সাথে জড়িত আছি অনেক বছর সেহেতু এ নিয়ে কিছু কথা বলা প্রয়োজন মনে করছি। যদিও এটা পুরোপুরি টেকনিক্যাল বিষয় তবুও চেষ্টা করব যতটা সম্ভব সরল ভাষায় সমস্যার কারন ও এর প্রেক্ষিতে বর্তমানে কি সব উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে অল্প কথায় বলার।
একটা গ্রাফ দিয়ে শুরু করা যাক,
বাংলাদেশে বিগত কযেক বছরের বিদ্যুত উত্পাদন
বছর ২০০৬ ২০০৭ ২০০৮ ২০০৯
দৈনিক গড় উত্পাদন (মেগাওয়াট) ৩১৬৫ ৩৩১০ ৩৫৭২ ৪১৬৯
দৈনিক গড় লোড শেডিং (মেগাওয়াট) ৬০৩ ৫৫৪ ৫৩৯ ৪০৬
সবোর্চ্চ উত্পাদন (মেগাওয়াট) ৩৭১৫ ৪১৩০ ৪০৩৭ ৪২৯৬
গ্রাফটা দেখে যে কেউ বুঝতে পারবেন বিদ্যুতের উত্পাদন বেশ বেড়েছে। সেটা ২০০৬ সালের তুলনায় হাজার মেগাওয়াট বেশী। গ্রাফটায় এটা ও পরিস্কার যে লোডশেডিং এর পরিমান এ সময়ের মধ্যে কমেছে। কিন্তু তারপরও কেন এত বিভ্রাট। তাহলে আরেকটা গ্রাফ আপনাদের সামনে নিয়ে আসতে হয়।
দেশের বর্তমান বিদ্যুত উত্পাদন পরিস্থিতি
বর্তমান উত্পাদন ক্ষমতা (অবচয়িত) ৫১৬৬ মেগাওয়াট
বর্তমান চাহিদা ৪২০০-৫৫০০ মেগাওয়াট
বর্তমানে সর্বোচ্চ বিদ্যুত উত্পাদন ৪২৯৬ মেগাওয়াট (১৮ সেপ্টেম্বর, ০৯)
বর্তমানে উত্পাদন প্রাপ্যতা ৩৮০০-৪২০০ মেগাওয়াট
সবোর্চ্চ গড় লোডশেডিং ৮৭২ মেগাওয়াট
আশা করি আপনাদের কাছে খুব পরিষ্কার কেন লোডশেডিংটা বেশী হচ্ছে। তারপরও যাদের কাছে বিষয়টা পুরোপুরি পরিষ্কার হয়নি তাদের জন্যে বাকিটুকু।
আসুন প্রথমে একটা হিসেব করে নিই। এক মেগাওয়াট বিদ্যুত উত্পাদনে খরচ পরে ১০ কোটি টাকা। অতএব বাংলাদেশ সরকার যদি তার গড় উত্পাদন বর্তমান সংকট মোকবেলা ও ক্রমবর্ধমান ভবিষৎ চাহিদা চিন্তা করে বাড়াতে চায় তাহলে আগামী পাচ বছরে প্রায় ৯০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত উত্পাদনের প্রয়োজন হবে । এখন হিসাবটা দেখুন, এই পরিমান বিদ্যুত উত্পাদন করতে সরকারকে আগামী পাচ বছরে ৯০০০x১০কোটি= ৯০ হাজার কোটি টাকার যোগান দিতে হবে। বছরে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা বা ২.৫৭ বিলিয়ন ডলার। কোত্থেকে আসবে টাকাটা? সমস্যা গেল একটা।
সমস্যা নাম্বার দুই। ধরা যাক টাকা যোগাড় হলো। এবার তবে বিদ্যুত কেন্দ্রগুলোর জ্বালানি কি হবে? গ্যাস? সেতো প্রায় ফুরিয়ে গেছে। তবে? ডিজেল? ফার্নেস ওয়েল? কয়লা? কোনটা? হাজার ইউনিট গ্যাস ১২০টাকা দরে ধরলেও প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের উত্পাদন খরচ পরে ২.৩৫ টাকা। সাথে ১৫% ভ্যাট, ইনকামটেক্স এবং মিনিমাম ১০% প্রফিট যোগ করলে গ্যাসে উত্পাদিত প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মুল্য দাড়ায় ৩.১৩ টাকা। কিন্তু গ্যাস পাবেন কোথায়? সার, বিদ্যুত, সিএনজি, কলকারখানা চালানো, রান্নাবান্না ইত্যাদি করে করে মাটির নিচে যে মজুদ ছিল তাতে তো টান পড়েছে। তাহলে উপায়? হাই স্পীড ডিজেল বা ফার্নেস ওয়েলের ব্যবহার? যদি এইচএসডি বা এফ ওয়েল দিয়ে বিদ্যুত উত্পাদন করি তবে উত্পাদন মুল্য দাড়ায় যথাক্রমে ১৩ টাকা এবং ৭.৬৫ টাকা। এখন মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন হলো বিদ্যুতের জন্যে এত উচ্চ মূল্য পরিশোধ করতে বাংলাদেশের নাগরিকেরা রাজি আছে কিনা? ( তবে বড় বিদ্যুত কেন্দ্রগুলোর ক্ষেত্রে ইউনিট প্রতি বিদ্যুত মুল্য কিছুটা কমবে।) আর কয়লা? একটা কয়লা বেইজড বিদ্যুত কেন্দ্রের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল স্থাপন করতে বেশী সময় লাগে। যে কারনে ব্যাংক ঋণ দিতে চায় না বা প্রকল্প চালু হতে দেরী হওয়ায় ঋণের কিস্তি নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। তবে এর এফিসিয়েন্সি বেশী, দামও মাত্র ১.২৫ টাকা প্রতি ইউনিট পড়তে পারে।
সমস্যা নাম্বার তিন। উত্পাদন সময়কাল। ধরে নিলাম বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের খরচ বা বিদ্যুত মুল্য কোন ব্যাপার না। আমার বিদ্যুত চাই। তাহলেও কি যটপট বিদ্যুত উত্পাদন করে সাপ্লাই দেয়া সম্ভব? মোটেই না। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ রকম একটা প্রকল্পের প্রোফাইল তৈরী হতে কমপক্ষে সময় লাগে তিনমাস। তারপর সেটা অনুমোদন হলে মন্ত্রীসভায় পাস হয়ে একনেক ঘুরে টেন্ডার পর্যন্ত যেতে খুব কম করে হলেও সময় লাগে ছমাস। তারপর টেন্ডার প্রক্রিয়া, গেল আরো দুমাস। ঠিকাদার নিয়োগ শেষে আনুষাঙ্গিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে প্রকল্প এলাকার উন্নয়ন, যন্ত্রপাতি আমদানি, খালাস, বহন, ইনস্টলেইশন ইত্যাদিতে গেল আরো ছমাস ( যদি বিদ্যুত প্রজেক্টটা ২০ মেগাওয়াট থেকে ১০০ মেগাওয়াটের মধ্যে হয়। কিন্তু যদি এর বেশী হয় ধরা যাক ১৫০ মেগাওয়াটের প্রজেক্ট হলে সময় লাগতে পারে ১২ মাস, ২০০ মেগাওয়াটের উপর প্রজেক্ট হলে সময় লাগবে ১৫ মাস, এর বড় প্রজেক্ট হলে সেটা ২৪ মাস থেকে ৪২ মাস পর্যন্ত)। কয়লা ভিত্তিক হলে যে সাইজের প্রজেক্টই হোক কম করে হলেও সময় লাগবে তিন বছর।
তাহলে দেখা যাচ্ছে আমরা যদি দ্রুত ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত উত্পাদন করতে চাই তাহলে প্রায় হাজার কোটি টাকা (১০০ মেগাওয়াট একসাথে ইন্সটলেইশনে গেলে সেটায় মোটামুটি ২০% কষ্ট রিকভারি চলে আসবে, প্রাইমারি ক্যালকুলেশন), প্রতি ইউনিটের মুল্য পরতে পারে ৭.৬৫ থেকে ১৩ টাকা, সময় লাগবে প্রায় ১৮ মাস। এখন সরকার যখন এরকম একটা প্রজেক্ট করতে যায় তখন তাকে অর্থসংস্থানের চিন্তা যেমন করতে হয় তেমনি আমরা কম মূল্যে বিদ্যুত চাই যে কারনে নাগরিক অসন্তোষ এড়াতে ভর্তুকির ব্যবস্থা করতে হবে এবং একটা নির্দিষ্ট সময় লাগবে। এখন কথা হল এগুলোর জন্যে নাগরিক প্রস্তুতি আমাদের আছে?
আসুন এবার দেখি, আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরের কন্ডিশনটা কি?
২০০২ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিদ্যুত খাত পুরাপুরি স্থবির ছিল। এসময়ের মধ্যে (২০০৪ সালে) সরকারি ৮০ মেগাওয়াট ইন্সটলেইশন হয়েছে তাও পিকিং পাওয়ার ষ্টেশন( সিদ্ধিরগঞ্জ)। তাও এটার টেন্ডার করে গিয়েছিল পূর্বতন আওয়ামী সরকার। তবে এসময়ের মধ্যে বেসরকারি ক্যাপটিভ খাতে বিদ্যুত আসে প্রায় হাজার মেগাওয়াট।(সরকারি উদ্যোগ না থাকায় বেসরকারি শিল্পমালিকেরা নিজেদের উত্পাদন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে তাহলে প্রশ্ন আসে পাঁচ বছর ক্ষমতায় থেকে বিএনপি সরকারের ২জন প্রতিমন্ত্রী কি ঘাস কাটছিলেন? ব্যাপারটা এরকমই দাড়ায়। টুকু প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে মেঘনা ঘাট-২ এর ৪৫০+ মেগাওয়াট প্রকল্পের জন্যে টেন্ডার ডাকা হয় দুইবার। প্রথমবার তিনটি কোম্পানী, ২য়বার দুইটি কোম্পানী এতে সাড়া দেয়, পরে বিশ্ব ব্যাংকের আপত্তির মুখে বাতিল হয়ে যায়। সিরাজগঞ্জ ৪৯৫+ মেগাওয়াট প্রকল্পের জন্যে ডাকা টেন্ডারের একই গতি হয়। তবে কাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছিল। ট্রান্সমিশন লাইন হয়েছিল ৩০০ কিলোমিটার, ডিষ্ট্রিবিউশন লাইন হয়েছিল ৭৮,০৮৪ কিলোমিটার, ১৩,১২৮টি গ্রাম বিদ্যুতায়ন হয়েছিল। (তাতে হাওয়া ভবনের বিশাল খাম্বা বানিজ্য হয়।) এতে সামগ্রিক বিদ্যুত চাহিদাও বেড়ে যায়। আনোয়ারুল কবির তালুকদার সাহেব বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর বিদ্যুত মন্ত্রনালয় প্রায় স্থবির হয়ে পরে। হাওয়া ভবনের পছন্দমত ঠিকাদারদের কাজ দিতে অস্বীকার করেন তিনি। এই বিরোধের ফলশ্রুতিতে তিনি পদত্যাগ করেন বিএনপি থেকে এবং বি. চৌধুরী নতুন দল গঠন করলে তাতে যোগ দেন।
পাওয়ার জেনারেশনের এই যে স্থবিরতা সেটা কাটে মুলত তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। ২০০৭ এবং ২০০৮ সালে বিদ্যুত সংকট তীব্র হয়ে উঠলে বিদ্যুত মন্ত্রনালয় কয়েক দফায় প্রায় ১৬০০ মেগাওয়াটের ভাড়া ভিত্তিক ও পিকিং পাওয়ার স্টেশন ভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্রের টেন্ডার আহ্বান করে। (এখানে বলা দরকার পিকিং পাওয়ার ষ্টেশন কিন্তু চালানো হয় পিক আওয়ারের ডিমান্ড চেজ করতে। দিনে ১২ ঘন্টার মতো এসব ষ্টেশন চালানো হয়।) কম দামে বিদ্যুত উত্পাদনের যে ট্যাবু জেনারেশন প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্থ করছিল সেটা প্রায় ১০ টাকা মুল্যে বিদ্যুত কিনে তারা ভেঙে দেয়।
তত্বাবধায়ক সরকারের অনুমোদন করে যাওয়া এসব কেন্দ্রের প্রায় অর্ধেক (৭২৭.৫ মেগাওয়াট) চালু হয় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। কিন্তু সাত বছরে চাহিদা বেড়েছে তা্রও অনেক বেশী। প্রতিদিন শিল্পাঞ্চলে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন শিল্প। গ্যাসের প্রাপ্যতা কমে যাওয়ায় গ্যাস নির্ভর কেন্দ্রগুলোর উত্পাদন কমেছে। পুরোনো কেন্দ্রগুলো সময়োর্ত্তীণ হয়ে যাওয়া কমে গেছে সেগুলোর এফিসিয়েন্সি। ফলে উত্পাদন, চাহিদা আর যোগানের যে ফাঁক সেটা ক্রমাগতই বাড়ছে। আর এই পরিস্থিতিতে এই সরকার একটা দুঃসাহসিক পরিকল্পনা নিয়েছে সংকট উত্তরনের জন্যে। উত্পাদন প্রক্রিয়ার সময় কমাতে পরিকল্পনা প্রনয়ন অনুমোদনের সময়সীমা ১২ মাস থেকে চারমাসে নামিয়ে আনতে চাইছে তারা। আর সেটা করতে গিয়ে সরকার আনসলিসিটেট পাওয়ার প্রজেক্টগুলাকে বাস্তবায়নের সম্ভাব্যতার উপর অনুমোদন দিয়ে দিতে চাইছে। এতে বর্তমান সরকারপ্রধানকে ভবিষ্যতে দুনীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার ঝুকি তৈরী হচ্ছে। কিন্তু এই ঝুকির ব্যাপারটা আমলে নিতে চাইছেন না তিনি। সম্ভাব্য সংকট সমাধানের লক্ষ্যে লন্ডনে যে রোড শো সরকার করেছে তাতে টেন্ডার প্রক্রিয়ার সময় এবং সরকারী দীর্ঘসুত্রের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছেন বিদেশী বিনিয়োগকারীরা। তারা বলেছেন প্রজেক্টের সমুদয় বিনিয়োগ তারা করবেন সেটা ঠিক আছে, একটা মেয়াদের জন্যে সে কারনে প্রজেক্ট পরিচালানা তারা করবেন(বিল্ড ওউন, অপারেট এন্ড ট্রান্সফার বেসিসে)। কম সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যাপারে তাদের বক্তব্যও একই। প্রশ্ন আসতে পারে কেন সরকার আনসলিসিটেট পাওয়ার প্রজেক্ট নিয়ে ভাবছে? এর পেছনে কারনগুলো হলঃ
১। প্রজেক্টের পুরো বিনিয়োগ যোগাড় করবে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী,
২। বিনিয়োগকারীদের জন্যে প্রকল্প পরিচালনার মেয়াদ হবে ১৫ থেকে ২০ বছর।
৩। তুলানামুলক বেশী যোগ্যতা সম্পন্ন, কমদর প্রদানকারীকে বাচাইয়ের সুযোগ,
৩। তাদের নিয়ন্ত্রনে মেশিন থাকায় সম্ভাব্য ঘোষিত সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন,
৪। ইউনিট প্রতি মুল্য নির্ধারনে মুলামুলির সুযোগ,
৫। মুল্য পরিশোধে সরকারের শর্ত আরোপের সুযোগ ইত্যাদি।
আর এই ভাবনা সামনে রেখে সরকার বিনিয়োগকারী, বিশ্বব্যাংক ও দাতাগোষ্টি এবং সনিজস্ব তহবিল থেকে অর্থের যোগানের চিন্তা করে তার নিম্নরুপ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চাইছে।
বছর সরকারী খাত বেসরকারী খাত মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী মোট
২০০৯-২০১০ ৪৮০মে.ওয়াট ২৭২ মে.ওয়াট ৫৩০ মে.ওয়াট রেন্টাল ১৭৮২ মে.ওয়াট
২০১১-২০১২ ৯০০ মে.ওয়াট ৪৫০ মে.ওয়াট ৮২০ মে.ওয়াট পিকিং ২১৭০ মে.ওয়াট
২০১৩-২০১৪ ৯০০ মে.ওয়াট ৪৫০ মে.ওয়াট ২৬ মে.ওয়াট কয়লা ভিত্তিক ৪০৪৫ মে.ওয়াট
মোট ৭৯৯৭ মে.ওয়াট
যদি এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারে সরকার তাহলে ২০১৫ সাল নাগাদ সামগ্রিক বিদ্যুত উত্পাদন দাড়াবে ১২০০০ মেগাওয়াট প্রায়। তারপরেও আমাদের হিসেবে নগরায়ন এবং শিল্পায়নের বতর্মান ধারা অব্যাহত থাকলে মোট ঘাটতি থাকবে প্রায় হাজার মেগাওয়াট। আমরা দেখেছি পাবনার রুপপুরে হাজার মেগাওয়াটের পারমানবিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মানের প্রাথমিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে ফেলেছে সরকার। ২০১৫ সাল নাগাদ সেটাও উত্পাদনে চলে এলে সাময়িক সময়ের জন্যে তখন আমরা বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে যাব। লোডশেডিং থেকে নাগরিকেরা পাবেন মুক্তি।
তথ্যসুত্রঃ বিদ্যুত বিভাগের বিভিন্ন প্রকাশনা।
এই পোস্টটি আমার ব্লগ থেকে নেয়া, লিখেছেন সন্ন্যাসীপাঠক
একটা গ্রাফ দিয়ে শুরু করা যাক,
বাংলাদেশে বিগত কযেক বছরের বিদ্যুত উত্পাদন
বছর ২০০৬ ২০০৭ ২০০৮ ২০০৯
দৈনিক গড় উত্পাদন (মেগাওয়াট) ৩১৬৫ ৩৩১০ ৩৫৭২ ৪১৬৯
দৈনিক গড় লোড শেডিং (মেগাওয়াট) ৬০৩ ৫৫৪ ৫৩৯ ৪০৬
সবোর্চ্চ উত্পাদন (মেগাওয়াট) ৩৭১৫ ৪১৩০ ৪০৩৭ ৪২৯৬
গ্রাফটা দেখে যে কেউ বুঝতে পারবেন বিদ্যুতের উত্পাদন বেশ বেড়েছে। সেটা ২০০৬ সালের তুলনায় হাজার মেগাওয়াট বেশী। গ্রাফটায় এটা ও পরিস্কার যে লোডশেডিং এর পরিমান এ সময়ের মধ্যে কমেছে। কিন্তু তারপরও কেন এত বিভ্রাট। তাহলে আরেকটা গ্রাফ আপনাদের সামনে নিয়ে আসতে হয়।
দেশের বর্তমান বিদ্যুত উত্পাদন পরিস্থিতি
বর্তমান উত্পাদন ক্ষমতা (অবচয়িত) ৫১৬৬ মেগাওয়াট
বর্তমান চাহিদা ৪২০০-৫৫০০ মেগাওয়াট
বর্তমানে সর্বোচ্চ বিদ্যুত উত্পাদন ৪২৯৬ মেগাওয়াট (১৮ সেপ্টেম্বর, ০৯)
বর্তমানে উত্পাদন প্রাপ্যতা ৩৮০০-৪২০০ মেগাওয়াট
সবোর্চ্চ গড় লোডশেডিং ৮৭২ মেগাওয়াট
আশা করি আপনাদের কাছে খুব পরিষ্কার কেন লোডশেডিংটা বেশী হচ্ছে। তারপরও যাদের কাছে বিষয়টা পুরোপুরি পরিষ্কার হয়নি তাদের জন্যে বাকিটুকু।
আসুন প্রথমে একটা হিসেব করে নিই। এক মেগাওয়াট বিদ্যুত উত্পাদনে খরচ পরে ১০ কোটি টাকা। অতএব বাংলাদেশ সরকার যদি তার গড় উত্পাদন বর্তমান সংকট মোকবেলা ও ক্রমবর্ধমান ভবিষৎ চাহিদা চিন্তা করে বাড়াতে চায় তাহলে আগামী পাচ বছরে প্রায় ৯০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত উত্পাদনের প্রয়োজন হবে । এখন হিসাবটা দেখুন, এই পরিমান বিদ্যুত উত্পাদন করতে সরকারকে আগামী পাচ বছরে ৯০০০x১০কোটি= ৯০ হাজার কোটি টাকার যোগান দিতে হবে। বছরে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা বা ২.৫৭ বিলিয়ন ডলার। কোত্থেকে আসবে টাকাটা? সমস্যা গেল একটা।
সমস্যা নাম্বার দুই। ধরা যাক টাকা যোগাড় হলো। এবার তবে বিদ্যুত কেন্দ্রগুলোর জ্বালানি কি হবে? গ্যাস? সেতো প্রায় ফুরিয়ে গেছে। তবে? ডিজেল? ফার্নেস ওয়েল? কয়লা? কোনটা? হাজার ইউনিট গ্যাস ১২০টাকা দরে ধরলেও প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের উত্পাদন খরচ পরে ২.৩৫ টাকা। সাথে ১৫% ভ্যাট, ইনকামটেক্স এবং মিনিমাম ১০% প্রফিট যোগ করলে গ্যাসে উত্পাদিত প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মুল্য দাড়ায় ৩.১৩ টাকা। কিন্তু গ্যাস পাবেন কোথায়? সার, বিদ্যুত, সিএনজি, কলকারখানা চালানো, রান্নাবান্না ইত্যাদি করে করে মাটির নিচে যে মজুদ ছিল তাতে তো টান পড়েছে। তাহলে উপায়? হাই স্পীড ডিজেল বা ফার্নেস ওয়েলের ব্যবহার? যদি এইচএসডি বা এফ ওয়েল দিয়ে বিদ্যুত উত্পাদন করি তবে উত্পাদন মুল্য দাড়ায় যথাক্রমে ১৩ টাকা এবং ৭.৬৫ টাকা। এখন মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন হলো বিদ্যুতের জন্যে এত উচ্চ মূল্য পরিশোধ করতে বাংলাদেশের নাগরিকেরা রাজি আছে কিনা? ( তবে বড় বিদ্যুত কেন্দ্রগুলোর ক্ষেত্রে ইউনিট প্রতি বিদ্যুত মুল্য কিছুটা কমবে।) আর কয়লা? একটা কয়লা বেইজড বিদ্যুত কেন্দ্রের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল স্থাপন করতে বেশী সময় লাগে। যে কারনে ব্যাংক ঋণ দিতে চায় না বা প্রকল্প চালু হতে দেরী হওয়ায় ঋণের কিস্তি নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। তবে এর এফিসিয়েন্সি বেশী, দামও মাত্র ১.২৫ টাকা প্রতি ইউনিট পড়তে পারে।
সমস্যা নাম্বার তিন। উত্পাদন সময়কাল। ধরে নিলাম বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের খরচ বা বিদ্যুত মুল্য কোন ব্যাপার না। আমার বিদ্যুত চাই। তাহলেও কি যটপট বিদ্যুত উত্পাদন করে সাপ্লাই দেয়া সম্ভব? মোটেই না। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ রকম একটা প্রকল্পের প্রোফাইল তৈরী হতে কমপক্ষে সময় লাগে তিনমাস। তারপর সেটা অনুমোদন হলে মন্ত্রীসভায় পাস হয়ে একনেক ঘুরে টেন্ডার পর্যন্ত যেতে খুব কম করে হলেও সময় লাগে ছমাস। তারপর টেন্ডার প্রক্রিয়া, গেল আরো দুমাস। ঠিকাদার নিয়োগ শেষে আনুষাঙ্গিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে প্রকল্প এলাকার উন্নয়ন, যন্ত্রপাতি আমদানি, খালাস, বহন, ইনস্টলেইশন ইত্যাদিতে গেল আরো ছমাস ( যদি বিদ্যুত প্রজেক্টটা ২০ মেগাওয়াট থেকে ১০০ মেগাওয়াটের মধ্যে হয়। কিন্তু যদি এর বেশী হয় ধরা যাক ১৫০ মেগাওয়াটের প্রজেক্ট হলে সময় লাগতে পারে ১২ মাস, ২০০ মেগাওয়াটের উপর প্রজেক্ট হলে সময় লাগবে ১৫ মাস, এর বড় প্রজেক্ট হলে সেটা ২৪ মাস থেকে ৪২ মাস পর্যন্ত)। কয়লা ভিত্তিক হলে যে সাইজের প্রজেক্টই হোক কম করে হলেও সময় লাগবে তিন বছর।
তাহলে দেখা যাচ্ছে আমরা যদি দ্রুত ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত উত্পাদন করতে চাই তাহলে প্রায় হাজার কোটি টাকা (১০০ মেগাওয়াট একসাথে ইন্সটলেইশনে গেলে সেটায় মোটামুটি ২০% কষ্ট রিকভারি চলে আসবে, প্রাইমারি ক্যালকুলেশন), প্রতি ইউনিটের মুল্য পরতে পারে ৭.৬৫ থেকে ১৩ টাকা, সময় লাগবে প্রায় ১৮ মাস। এখন সরকার যখন এরকম একটা প্রজেক্ট করতে যায় তখন তাকে অর্থসংস্থানের চিন্তা যেমন করতে হয় তেমনি আমরা কম মূল্যে বিদ্যুত চাই যে কারনে নাগরিক অসন্তোষ এড়াতে ভর্তুকির ব্যবস্থা করতে হবে এবং একটা নির্দিষ্ট সময় লাগবে। এখন কথা হল এগুলোর জন্যে নাগরিক প্রস্তুতি আমাদের আছে?
আসুন এবার দেখি, আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরের কন্ডিশনটা কি?
২০০২ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিদ্যুত খাত পুরাপুরি স্থবির ছিল। এসময়ের মধ্যে (২০০৪ সালে) সরকারি ৮০ মেগাওয়াট ইন্সটলেইশন হয়েছে তাও পিকিং পাওয়ার ষ্টেশন( সিদ্ধিরগঞ্জ)। তাও এটার টেন্ডার করে গিয়েছিল পূর্বতন আওয়ামী সরকার। তবে এসময়ের মধ্যে বেসরকারি ক্যাপটিভ খাতে বিদ্যুত আসে প্রায় হাজার মেগাওয়াট।(সরকারি উদ্যোগ না থাকায় বেসরকারি শিল্পমালিকেরা নিজেদের উত্পাদন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে তাহলে প্রশ্ন আসে পাঁচ বছর ক্ষমতায় থেকে বিএনপি সরকারের ২জন প্রতিমন্ত্রী কি ঘাস কাটছিলেন? ব্যাপারটা এরকমই দাড়ায়। টুকু প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে মেঘনা ঘাট-২ এর ৪৫০+ মেগাওয়াট প্রকল্পের জন্যে টেন্ডার ডাকা হয় দুইবার। প্রথমবার তিনটি কোম্পানী, ২য়বার দুইটি কোম্পানী এতে সাড়া দেয়, পরে বিশ্ব ব্যাংকের আপত্তির মুখে বাতিল হয়ে যায়। সিরাজগঞ্জ ৪৯৫+ মেগাওয়াট প্রকল্পের জন্যে ডাকা টেন্ডারের একই গতি হয়। তবে কাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছিল। ট্রান্সমিশন লাইন হয়েছিল ৩০০ কিলোমিটার, ডিষ্ট্রিবিউশন লাইন হয়েছিল ৭৮,০৮৪ কিলোমিটার, ১৩,১২৮টি গ্রাম বিদ্যুতায়ন হয়েছিল। (তাতে হাওয়া ভবনের বিশাল খাম্বা বানিজ্য হয়।) এতে সামগ্রিক বিদ্যুত চাহিদাও বেড়ে যায়। আনোয়ারুল কবির তালুকদার সাহেব বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর বিদ্যুত মন্ত্রনালয় প্রায় স্থবির হয়ে পরে। হাওয়া ভবনের পছন্দমত ঠিকাদারদের কাজ দিতে অস্বীকার করেন তিনি। এই বিরোধের ফলশ্রুতিতে তিনি পদত্যাগ করেন বিএনপি থেকে এবং বি. চৌধুরী নতুন দল গঠন করলে তাতে যোগ দেন।
পাওয়ার জেনারেশনের এই যে স্থবিরতা সেটা কাটে মুলত তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। ২০০৭ এবং ২০০৮ সালে বিদ্যুত সংকট তীব্র হয়ে উঠলে বিদ্যুত মন্ত্রনালয় কয়েক দফায় প্রায় ১৬০০ মেগাওয়াটের ভাড়া ভিত্তিক ও পিকিং পাওয়ার স্টেশন ভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্রের টেন্ডার আহ্বান করে। (এখানে বলা দরকার পিকিং পাওয়ার ষ্টেশন কিন্তু চালানো হয় পিক আওয়ারের ডিমান্ড চেজ করতে। দিনে ১২ ঘন্টার মতো এসব ষ্টেশন চালানো হয়।) কম দামে বিদ্যুত উত্পাদনের যে ট্যাবু জেনারেশন প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্থ করছিল সেটা প্রায় ১০ টাকা মুল্যে বিদ্যুত কিনে তারা ভেঙে দেয়।
তত্বাবধায়ক সরকারের অনুমোদন করে যাওয়া এসব কেন্দ্রের প্রায় অর্ধেক (৭২৭.৫ মেগাওয়াট) চালু হয় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। কিন্তু সাত বছরে চাহিদা বেড়েছে তা্রও অনেক বেশী। প্রতিদিন শিল্পাঞ্চলে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন শিল্প। গ্যাসের প্রাপ্যতা কমে যাওয়ায় গ্যাস নির্ভর কেন্দ্রগুলোর উত্পাদন কমেছে। পুরোনো কেন্দ্রগুলো সময়োর্ত্তীণ হয়ে যাওয়া কমে গেছে সেগুলোর এফিসিয়েন্সি। ফলে উত্পাদন, চাহিদা আর যোগানের যে ফাঁক সেটা ক্রমাগতই বাড়ছে। আর এই পরিস্থিতিতে এই সরকার একটা দুঃসাহসিক পরিকল্পনা নিয়েছে সংকট উত্তরনের জন্যে। উত্পাদন প্রক্রিয়ার সময় কমাতে পরিকল্পনা প্রনয়ন অনুমোদনের সময়সীমা ১২ মাস থেকে চারমাসে নামিয়ে আনতে চাইছে তারা। আর সেটা করতে গিয়ে সরকার আনসলিসিটেট পাওয়ার প্রজেক্টগুলাকে বাস্তবায়নের সম্ভাব্যতার উপর অনুমোদন দিয়ে দিতে চাইছে। এতে বর্তমান সরকারপ্রধানকে ভবিষ্যতে দুনীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার ঝুকি তৈরী হচ্ছে। কিন্তু এই ঝুকির ব্যাপারটা আমলে নিতে চাইছেন না তিনি। সম্ভাব্য সংকট সমাধানের লক্ষ্যে লন্ডনে যে রোড শো সরকার করেছে তাতে টেন্ডার প্রক্রিয়ার সময় এবং সরকারী দীর্ঘসুত্রের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছেন বিদেশী বিনিয়োগকারীরা। তারা বলেছেন প্রজেক্টের সমুদয় বিনিয়োগ তারা করবেন সেটা ঠিক আছে, একটা মেয়াদের জন্যে সে কারনে প্রজেক্ট পরিচালানা তারা করবেন(বিল্ড ওউন, অপারেট এন্ড ট্রান্সফার বেসিসে)। কম সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যাপারে তাদের বক্তব্যও একই। প্রশ্ন আসতে পারে কেন সরকার আনসলিসিটেট পাওয়ার প্রজেক্ট নিয়ে ভাবছে? এর পেছনে কারনগুলো হলঃ
১। প্রজেক্টের পুরো বিনিয়োগ যোগাড় করবে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী,
২। বিনিয়োগকারীদের জন্যে প্রকল্প পরিচালনার মেয়াদ হবে ১৫ থেকে ২০ বছর।
৩। তুলানামুলক বেশী যোগ্যতা সম্পন্ন, কমদর প্রদানকারীকে বাচাইয়ের সুযোগ,
৩। তাদের নিয়ন্ত্রনে মেশিন থাকায় সম্ভাব্য ঘোষিত সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন,
৪। ইউনিট প্রতি মুল্য নির্ধারনে মুলামুলির সুযোগ,
৫। মুল্য পরিশোধে সরকারের শর্ত আরোপের সুযোগ ইত্যাদি।
আর এই ভাবনা সামনে রেখে সরকার বিনিয়োগকারী, বিশ্বব্যাংক ও দাতাগোষ্টি এবং সনিজস্ব তহবিল থেকে অর্থের যোগানের চিন্তা করে তার নিম্নরুপ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চাইছে।
বছর সরকারী খাত বেসরকারী খাত মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী মোট
২০০৯-২০১০ ৪৮০মে.ওয়াট ২৭২ মে.ওয়াট ৫৩০ মে.ওয়াট রেন্টাল ১৭৮২ মে.ওয়াট
২০১১-২০১২ ৯০০ মে.ওয়াট ৪৫০ মে.ওয়াট ৮২০ মে.ওয়াট পিকিং ২১৭০ মে.ওয়াট
২০১৩-২০১৪ ৯০০ মে.ওয়াট ৪৫০ মে.ওয়াট ২৬ মে.ওয়াট কয়লা ভিত্তিক ৪০৪৫ মে.ওয়াট
মোট ৭৯৯৭ মে.ওয়াট
যদি এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারে সরকার তাহলে ২০১৫ সাল নাগাদ সামগ্রিক বিদ্যুত উত্পাদন দাড়াবে ১২০০০ মেগাওয়াট প্রায়। তারপরেও আমাদের হিসেবে নগরায়ন এবং শিল্পায়নের বতর্মান ধারা অব্যাহত থাকলে মোট ঘাটতি থাকবে প্রায় হাজার মেগাওয়াট। আমরা দেখেছি পাবনার রুপপুরে হাজার মেগাওয়াটের পারমানবিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মানের প্রাথমিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে ফেলেছে সরকার। ২০১৫ সাল নাগাদ সেটাও উত্পাদনে চলে এলে সাময়িক সময়ের জন্যে তখন আমরা বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে যাব। লোডশেডিং থেকে নাগরিকেরা পাবেন মুক্তি।
তথ্যসুত্রঃ বিদ্যুত বিভাগের বিভিন্ন প্রকাশনা।
এই পোস্টটি আমার ব্লগ থেকে নেয়া, লিখেছেন সন্ন্যাসীপাঠক
মঙ্গলবার, ১৭ আগস্ট, ২০১০
কিভাবে এডসেন্স এক্টিভ করবেন?
আমার এডসেন্স একাউন্ট চালু হতে সময় লাগে প্রায় ৩ সপ্তাহের মত (উপরের ছবিটার মত দেখাত)। কারন প্রথমবার ইমেইল সাপোর্ট করে নাই , তারপর ব্লগ সাপোর্ট করে নাই অবশেষে ৩ সপ্তাহ চেষ্টা চালিয়ে এক্টিভ করতে পেরেছিলাম এডসেন্স একাউন্ট ।
অন্যদিকে আমার এক ফ্রেন্ডের এডসেন্স চালু করতে সময় লাগে ২ ঘন্টার কিছু বেশি । তাকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারি সে নাকি ব্লগারের monitize থেকে চালু করেছে । নিচের ছবিটি দেখলে বুঝতে পারবেন ।
যে ব্লগটিতে এডসেন্স স্থাপন করতে চান এর language বাংলায় থাকলে ইংরেজি করে নিন । তারপর monitize > Set Up AdSense উপরের ছবিটার মত দেখাবে , যেকোন একটি অপশন সিলেক্ট করে next ক্লিক করুন ।
যদি আপনি এডসেন্সের ফর্ম (নাম,ঠিকানা,ইত্যাদি) পূরণ না করে থাকেন তাহলে অপশন আসবে ফর্ম পূরণের জন্য । আশা করা যায় ৪৮ ঘান্টার ভিতর একাউন্ট এক্টিভ হয়ে যাবে ।
আবার আপনি গুগল সাইটস থেকেও এডসেন্স চালু করে নিতে পারেন এবং একইভাবে ফর্মপূরণ করে নিতে হবে ।
প্রেমিকা
"..আমার সেই উদারপন্থী প্রেমিকা আজ ফ্যাসীবাদের সমর্থক। উনার জ্বালাময়ী কন্ঠ ইরানী সামরিক শক্তিকেও হার মানাইয়া দিতে পারে। কোথায় স্বামীভক্ত হইয়া আমার জন্য বাপের বাড়ির কুমড়া আলু আনিবেন, তা না করিয়া উনি আমার ওয়ালেট, ক্রেডিট কার্ড আর ব্যাংকের চেক বইটা লইয়া গিয়াছেন, আর এখনও ফেরৎ দেন নাই। আমি একটা আন্ডারওয়ার পর্যন্ত ক্রয় করিতে পারিতেছি না, এক লুংগি দশ বছর ধরিয়া পড়িতে পড়িতে নরম হইয়া গিয়াছে.."
সোমবার, ১৬ আগস্ট, ২০১০
খালেদা জিয়া'র জন্মদিনের ডকুমেন্টস
এখন আমাদের প্রায় সবারই জানা যে খালেদা জিয়া'র কয়েকটি জন্মদিন রয়েছে - বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন ডকিউমেন্টস অনুসারে.... আসুন সেই ডকিউমেন্ট গুলো একটু দেখি.....।
এই পোস্টের উৎস জনাব ইফ্তেখার মোহাম্মদের "আমার ব্লগে" দেয়া একটি পোস্ট
২০০০ সালের ভোটারের তথ্য ফরম:
বোর্ড থেকে তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র:
বিয়ের কাবিন নামা:
এই পোস্টের উৎস জনাব ইফ্তেখার মোহাম্মদের "আমার ব্লগে" দেয়া একটি পোস্ট
২০০০ সালের ভোটারের তথ্য ফরম:
বোর্ড থেকে তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র:
বিয়ের কাবিন নামা:
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:৪১
এই পোস্ট টি somewhereinblog থেকে নেয়া
ব্লগ এ টেম্পলেট কিভাবে আপলোড করবেন এবং কোথায় পাবেন।
আপনারা যারা নতুন ব্লগিং শুরু করেছেন তাদের জন্য এই পোস্ট। আপনারা সবাই ব্লগকে নিজের মত করে সাজিয়ে নিতে চান। এর জন্য ব্লগারে কিছু ডিফল্ট টেম্পলেট আছে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে এই কয়েকটা টেম্পলেট দিয়ে আপনি আপনার মনের মত করে ব্লগ সাজাতে পারছেন না। এতে অনেকের মাঝেই ব্লগিং এর আগ্রহ টা কমে যায়। আমি আজ আপনাদেরকে জানাব কি করে আপনি ফ্রী টেম্পলেট পাবেন এবং তা ব্লগার এ আপলোড করবেন। আমার টেম্পলেট আপলোডের প্রিয় সাইট টি হল বি-টেম্পলেট। এটা আমার প্রিয় কারন এখানে আমি আমার মনের মত সব টেম্পলেট পেয়েছি। আপনি এখন বি-টেম্পলেট থেকে আপনার পছন্দমত টেম্পলেট টি ডাউনলোড করে নিন। এখন আপনি যে জিপ ফাইল টি ডাউনলোড করেছেন সেটি একটা জায়গাতে আনজিপ করুন। (আনজিপ করার অনেক সফটওয়ার আছে, আমি win rar ব্যবহার করি।) এখন ব্লগার.কম এ আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করুন। লগিন করে ডিজাইন থেকে Edit HTML এ ক্লিক করুন। এখানে দেখুন টেম্পলেট আপলোড এর একটা বক্স আছে। সেখানে আপনি আপনার আনজিপ ফাইল থেকে xml ফাইল টি সিলেক্ট করুন এবং আপলোড করুন। তারপর সেভ করে নতুন একটা ট্যাব এ আপনার ব্লগটি দেখুন নতুন সাজে কেমন লাগছে। টেম্পলেট সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন থাকলে আমাকে জানান।
রবিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১০
অনলাইনে টাকা কামান বিডভারটাইজার দিয়ে
আজ আপনাদেরকে জানাব বিডভারটাইজার সম্পর্কে। অনেকেই মনে করেন যে এডসেন্স ছারা আর কোথাও আপনারা দামী এড পাবেন না।আপনাদের এ ধারনা সম্পূর্ণ ভুল। আপনাদের জন্য সুখবর হল বিডভারটাইজার এ আপনি 0.02-5$ এর এড পাবেন এই বাংলাদেশ এ। এখন যারা এডসেন্স চালু করতে না পারলেও আপনাদের মন খারাপ করার কিছু নেই। আপনারা বিডভারটাইজার ব্যবহার করুন। আপনি যদি বিডভারটাইজার সঠিক ভাবে কনফিগার না করেন তাহলে কিন্তু আপনি কোনো টাকা পাবেন না। একটি কথা মনে রাখবেন বিডভারটাইজার এর একটি কোড শুধু এক জায়গাতে ব্যবহার করবেন। আপনি যখন আপনার বিডভারটাইজার একাউন্ট এ নতুন সাইট এড করবেন তখন সাইট টাইটেল এ আপনি আপনার পেজ এর এর নাম লিখবেন। যেমন মেইন পেজ এর জন্য লিখবেন index।
এখন আসুন আমরা জেনে নেই আমরা কি করে এখান থেকে টাকা পাব। আপনি ২ ভাবে এখান থেকে টাকা পাবেন।
১। পে-পাল
২। চেক
আপনি যদি পে আউট পে-পাল সিলেক্ট করেন তাহলে তারা আপনাকে ১০$ হলেই টাকা পেতে পারেন। আর আপনি যদি পে আউট চেক সিলেক্ট করেন তাহলে আপনি ৫০$ হলে টাকা পাবেন।
যাদের ফ্রী সাইট আছে তারাও বিডভারটাইজার ব্যবহার করতে পারেন।
বিডভারটাইজার ব্যবহার করতে এখানে ক্লিক করুন।
নিজের নামে সার্চ ইঞ্জিন তৈরী করুন ১ সেকেন্ডে
পাশের ছবিটি দেখুন! আজই আমি এই সার্চ ইঞ্জিনের মালিক হলাম। গুগলের সঙ্গে এক বোঝা পড়াতে গিয়ে এটি সম্ভব হলো। শুনেছি, প্রত্যাহবানের মুখে পড়ে বিল গেট আবারো মাইক্রোসফটে যোগ দিয়ে সক্রিয় হবার কথা ভাবছেন! বিশ্বাস হচ্ছে না ?!
আপনার গুগল নিউস সাইটে গিয়ে দেখুন ইতিমধ্যে কয়েক হাজার সংবাদ শিরোনামে এ নিয়ে হৈ চৈ পড়ে গেছে?পেলেন?
না পেলে এখানে ক্লিক করুন। আপনার নাম লিখতে বলবে। লিখে নিচের বোতামে ক্লিক করুন। তবেই, জানবেন, আমি ঠাট্টা করতে পারি, কিন্তু মিথ্য বলি না!
এই লিখাটি বাংলা হ্যাক্স থেকে নেয়া
শনিবার, ১৪ আগস্ট, ২০১০
বিনামুল্যে মোবাইল এর জন্য কিভাবে ওয়াপ সাইট তৈরী করবেন
আজ আমি আপনাদের কে জানাব কি করে মোবাইল এর জন্য সাইট তৈরী করবেন একদম বিনামূল্যে। অনেক সাইট আছে যারা আপনাদের কে ফ্রী wap site তৈরী করে দেয়। বাংলাদেশ এবং ইন্ডিয়াতে জনপ্রিয় হল peperonity.com। কিন্তু এই সাইট এ আপনি আপনার পছন্দমত ডিজাইন করতে পারবেন না। তাই আমি আপনাদের কে জানাচ্ছি যে xtgem আপনাদের জন্য উপোযোগী একটা সাইট। এখানে আপনি আপনার পছন্দ মত ডিজাইন করতে পারবেন wml বা xhtml দিয়ে। আপনি যদি প্রোগ্রামিং নাও বুঝেন তাহলেও কোনো সমস্যা নেই। আর এই সাইট এর ব্যান্ডয়াইথ আনলিমিটেড।
এখন আসুন আমরা জানি কি করে এই সাইট তৈরী করব। প্রথমে xtgem এ ঢুকে রেজিস্ট্রেশন করুন। মনে রাখবেন আপনার রেজিস্ট্রেশন আইডি আপনার সাইট এর নাম হিসেবে ব্যবহ্রত হবে। রেজিস্ট্রেশন এর সময় আপনি ডোমেইন নেম পাবেন। এখানে আপনি অনেক ডোমেইন পাবেন। যেমনঃ yourname.xtgem.com, yourname.waphall.com, yourname.mobie.in সহ আরো অনেক ডোমেইন। আপনার রেজিস্ট্রেশন হলে আপনি লগিন করে create এ ক্লিক করুন। এখন আপনি উপরের ছবিতে দেখুন ২টা symbol আছে। সবুজ টা তে ক্লিক করে আপনি কোনো লিখা, নতুন পেজ, ফাইল, html code ইত্যাদি এড করতে পারবেন। এরপর দেখুন কলম এর মত যেটা আছে সেটাতে ক্লিক করে আপনার কোনো ভুল হলে তা এডিট করতে পারবেন। আপনি যদি আপনার নিজের পছন্দ মত বারতি কিছু করতে চান তাহলে আপনার code use করতে হবে।
এই পোস্ট সম্পর্কে কোনো মতামত থাকলে আমাকে জানান। আপনার যদি সাইট তৈরীতে কোনো সমস্যা বা সাহায্য দরকার হয় তাহলে জানাতে কার্পণ্য করবেন না।
শুক্রবার, ১৩ আগস্ট, ২০১০
তরুণ সমাজের অবক্ষয়ের হাতিয়ার : ইন্টারনেটে পর্ণো ওয়েবসাইটের ব্যবহার
গত ২১ শে জুলাই দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার একটি খবর সমাজ সচেতন প্রত্যেক ব্যক্তিকেই আশান্বিত
করেছে। সংবাদটির ’শিরোনাম হলো ‘পর্নো অপরাধীদের বিরুদ্ধে আসছে জামিন অযোগ্য আইন।’ সংবাদটির
কিছু অংশ হল এইরকম ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোল্লা ওয়াহেদুজ্জামান স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশপত্রে উদ্বেগ
জানিয়ে বলা হয়েছে, ‘বর্তমানে ভিডিও এবং বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে পর্নোগ্রাফির প্রসারতা ব্যাপকভাবে বাড়ায়
সমাজে অশ্লীলতা, পৈশাচিকতা, অস্থিরতা ও নৃশংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে দেশের যুব সমাজের বড় অংশ
ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। পাশাপাশি সমাজের আবহমান সাংস্কৃতিক প্রবাহে ক্ষত সৃষ্টি হয়ে যুব সমাজ ক্রমাগত ধ্বংসের
দিকে ধাবিত হচ্ছে। এতে সমাজের সামগ্রিক ভারসাম্যও হুমকির মুখে।’ এই সংবাদটি পড়ে অনেকেরই খুশি
হবার কথা।
অনেক বুদ্ধিজীবী বলে থাকেন আমরা প্রযুক্তির দিক দিয়ে যত উন্নত লাভ করছি আমাদের সভ্যতাও তত উন্নত
লাভ করছে। আসলেই কি আমাদের সভ্যতা দিন দিন উন্নত লাভ করছে? সভ্য মানে যদি হয় “অসভ্য” তাহলে
সেই সব বুদ্ধিজীবীদের কথা ঠিক আছে। কিন্তু সভ্যতা মানে যদি হয় রুচিসম্পন্ন, সংস্কৃতিসম্পন্ন তাহলে প্রযুক্তি
যে আমাদের সভ্যতাকে অগ্রসর করছে তা বলা যাবে না। বরং আমরা এতটুকু বলতে পারি প্রযুক্তি আমাদের
যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আশাতীতভাবে সহজ করেছে কিন্তু আমাদের সভ্য করেনি। প্রযুক্তি যদি আমাদের সভ্য
করত তাহলে ব্যাপক হারে সারা পৃথিবীতে ধর্ষন বাড়ত না, মানুষ মানুষকে খুন করতো না, পথে পথে মেয়েদের
উত্যক্ত হতে হতো না, গরিবেরা না খেয়ে মরতা না। সভ্যতা যদি আমাদের মানসিকতাকে উন্নত করতো তাহলে
আমেরিকার মত একটি শীর্ষ প্রযুক্তির দেশ সারা পৃথিবীতে আগ্রাসন চালাত না। মোট কথা প্রযুক্তি আমাদের
সভ্য করতে পারেনি, বরং প্রযুক্তি যত উন্নতি লাভ করছে আমাদের হীন স্বার্থ তত প্রকট হয়ে উঠছে।
ইন্টারনেট তেমনই একটি উন্নত প্রযুক্তি। ইন্টারনেট সমগ্র পৃথিবীকে আমাদের হাতের মুঠোই এনে দিয়েছে। ঘরে
বসেই আমরা সারা পৃথিবীকে অবলোকন করছি। ইন্টারনেটে অনেক ভাল দিক রয়েছে যা ব্যবহারের ফলে
আমাদের জানার পরিধিকে বাড়িয়ে দেয় কিন্তু এর খারাপ দিক মোটেই উপেক্ষা করার মত নয়। পর্নোগ্রাফি
তেমনই একটি খারাপ দিক যা যুবক-যুবতিদের ঠেলে দিচ্ছে ভয়াবহ বিকৃত যৌনাচারের দিকে। এই সব অশ্লীল
ভিডিও দেখার ফলে একজন তরুন হয়ে উঠছে সেক্স অপরাধী। তার একমাত্র চিন্তাধারা হয়ে উঠে সেক্স। যার
ফলে সে একজন তরুনীকে পথে ঘাটে লাঞ্ছিত করে। তার স্বাভাবিক কাজকর্ম বহ্যত হয়। আমরা যদি আমাদের
দেশটাকে এগিয়ে নিতে চাই তবে আমাদের তরুন সমাজকে অবশই নৈতিকতার মানদন্ডে উর্ত্তীণ হতে হবে।
অশ্লীল ছবি দেখার ফলে একজন তরুনই যে বখাটে হয় তা ভুল। অশ্লীল ছবি দেখার প্রতিক্রিয়া একজন তরুনীর
মধ্যেও দেখা যায় যা সাধারনত আলোচিত হয় না। একজন তরুনের মতই একজন তরুনীও যে বখাটিনী হতে
পারে এই সত্যটি আমাদের স্বীকার করতে হবে। অনেক ছেলেকে দেখা যাই ময়লাযুক্ত প্যান্ট পড়ে সেই প্যান্ট
আবার এতো নিচে থাকে যে নাভী দেখা য়ায। এই ছেলে গুলোকে আমরা সাধারনত বখাটে ভাবি। অনেককে
দেখা যায় এমন পাতলা পাঞ্জাবী পড়িধান করতে যে তার সমস্ত শরীর দেখা যায়, একে আমরা বখাটে মনে করি।
অনেককে দেখা যায় চুল বড় করে রেখে চোখে কালো চশমা পড়ে বুকের বুতাম খুলে রেখে যখন রাস্তা দিয়ে
চলে তখন একেও আমরা সাধারণত বখাটে ভাবি। কিন্তু কোন মেয়ে যখন অশ্লীল টাইপের পোশাক পড়ে তখন
তাকে আমরা সাধারণত বখাটিনী ভাবি না। কোন মেয়ে যখন স্বাভাবিক পোশাক পরিধান না করে বরং শরীরের
স্পর্শকাতর অংগগুলি ফুটে উঠে এই রকম পোশাক ব্যবহার করে তখন তাকে আমরা বখাটিনী ভাবি না বরং
মনে করি বাহ! এই মেয়েটি তো বেশ আধুনিক।
ধর্ষণ, বখাটে, বিকারগ্রস্থ, আত্মহত্যা এই শব্দগুলো আজকাল পত্রিকার পাতায় ও বুদ্ধিজীবীদের মুখে প্রচুর
পরিমাণে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই ধরনের কিছু শব্দের ব্যবহার যখন বেড়ে যায় তখন মনে করতে হবে জাতির
একটি অংশ ধ্বংশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতির স্বাভাবিক বিকাশ ব্যহত হচ্ছে। সস্তায় যৌন সামগ্রী সমাজে
ছড়িয়ে পড়লে একটি নিজ্বস্ব সংস্কৃতি সম্পন্ন জাতিকে খুব সহজেই পতনের দিকে নিয়ে যাওয়া যায়। যুবদের
নৈতিক শক্তিকে ধ্বংশ করার যত পথ ও পন্থা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল খুব সহজেই অশ্লীল সামগ্রী হাতে
পাওয়া। বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অশ্লীলতার বড় উপাদান পর্নোগ্রাফি সহজ প্রাপ্তির ফলে যুকসমাজ
ব্যাপকহারে পর্নোগ্রাফির প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে।
অনেক বুদ্ধিজীবী অশ্লীলতার বিরুদ্ধে কথা বলেন এবং লেখেন কিন্তু অশ্লীলতা বন্ধের পন্থা কি হতে পারে তা
নিয়ে খুব একটা লিখতে বা বলতে চান না। তার কারন যে কি আল্লাহই ভাল জানেন। তবে ধারনা করা যেতে
পারে, ইসলামী পন্থা ছাড়া অশ্লীলতা বন্ধের কোন পথ নেই ভেবেই হয়ত তারা চুপ থাকে। বুদ্ধিজীবীদের প্রতি
আমাদের অনুরোধ, আর উপদেশ বিবৃতি নয়, অশ্লীলতা বন্ধে কার্যকরী ব্যবস্থার কথা বলুন।
অশ্লীলতা বন্ধে কোরআনের শিক্ষা মেনে নেওয়াই হবে অশ্লীলতা বন্ধের উত্তম পথ। মহান আল্লাহ বলেন “তোমরা
যিনার ধারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চই এটা অশ্লীল কাজ ও অসৎ পন্থা (বনী ইসরাঈল-৩২)।” অন্যত্র তিনি
বলেন “ লজ্জাহীনতার যত পন্থা আছে উহার নিকটেও যেয়ো না, তা প্রকাশ্যেই হোক আর গোপনেই হোক
(আনআম-১৫১)।” এই হল অশ্লীলতা বন্ধে মহাগ্রন্থ আল কোনআনের বৈজ্ঞানিক পন্থা। অশ্লীলতার উপাদান
গুলোকেই যদি ধ্বংস করে দেওয়া যায় তবে সমাজে অশ্লীলতার প্রসার কোন মতেই সম্ভব নয়। অনেক লেখকই
বলছেন “বিপথগামিত, বিকারগ্রস্ততা, অশ্লীলতা বর্তমানে ক্রমবর্ধমান।” এর অনেকগুলো কারণের মধ্যে
অন্যতম কারণ হচ্ছে ইন্টারনেটে অশ্ললীতা। ইন্টারনেটের মত উন্নতি প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে কিছু ছেলে মেয়ে
সৃজনশীলতার সাক্ষর রাখলেও অধিকাংশ ছেলে মেয়েই এর নেতিবাচক দিকটির প্রতি বেশি আসক্ত হয়ে পড়ছে
যা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। সরকারে যারা আছেন তাদের প্রতি আমাদের একান্ত অনুরোধ, পার্থিব
উন্নতির পাশাপাশি নৈতিকতার উন্নতি ঘটাতে চাইলে কোরআনের কথা মেনে নিয়ে ইন্টারনেটের সমস্ত
পর্নোগ্রাফির সাইট গুলি বন্ধ করে দিন।
করেছে। সংবাদটির ’শিরোনাম হলো ‘পর্নো অপরাধীদের বিরুদ্ধে আসছে জামিন অযোগ্য আইন।’ সংবাদটির
কিছু অংশ হল এইরকম ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোল্লা ওয়াহেদুজ্জামান স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশপত্রে উদ্বেগ
জানিয়ে বলা হয়েছে, ‘বর্তমানে ভিডিও এবং বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে পর্নোগ্রাফির প্রসারতা ব্যাপকভাবে বাড়ায়
সমাজে অশ্লীলতা, পৈশাচিকতা, অস্থিরতা ও নৃশংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে দেশের যুব সমাজের বড় অংশ
ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। পাশাপাশি সমাজের আবহমান সাংস্কৃতিক প্রবাহে ক্ষত সৃষ্টি হয়ে যুব সমাজ ক্রমাগত ধ্বংসের
দিকে ধাবিত হচ্ছে। এতে সমাজের সামগ্রিক ভারসাম্যও হুমকির মুখে।’ এই সংবাদটি পড়ে অনেকেরই খুশি
হবার কথা।
অনেক বুদ্ধিজীবী বলে থাকেন আমরা প্রযুক্তির দিক দিয়ে যত উন্নত লাভ করছি আমাদের সভ্যতাও তত উন্নত
লাভ করছে। আসলেই কি আমাদের সভ্যতা দিন দিন উন্নত লাভ করছে? সভ্য মানে যদি হয় “অসভ্য” তাহলে
সেই সব বুদ্ধিজীবীদের কথা ঠিক আছে। কিন্তু সভ্যতা মানে যদি হয় রুচিসম্পন্ন, সংস্কৃতিসম্পন্ন তাহলে প্রযুক্তি
যে আমাদের সভ্যতাকে অগ্রসর করছে তা বলা যাবে না। বরং আমরা এতটুকু বলতে পারি প্রযুক্তি আমাদের
যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আশাতীতভাবে সহজ করেছে কিন্তু আমাদের সভ্য করেনি। প্রযুক্তি যদি আমাদের সভ্য
করত তাহলে ব্যাপক হারে সারা পৃথিবীতে ধর্ষন বাড়ত না, মানুষ মানুষকে খুন করতো না, পথে পথে মেয়েদের
উত্যক্ত হতে হতো না, গরিবেরা না খেয়ে মরতা না। সভ্যতা যদি আমাদের মানসিকতাকে উন্নত করতো তাহলে
আমেরিকার মত একটি শীর্ষ প্রযুক্তির দেশ সারা পৃথিবীতে আগ্রাসন চালাত না। মোট কথা প্রযুক্তি আমাদের
সভ্য করতে পারেনি, বরং প্রযুক্তি যত উন্নতি লাভ করছে আমাদের হীন স্বার্থ তত প্রকট হয়ে উঠছে।
ইন্টারনেট তেমনই একটি উন্নত প্রযুক্তি। ইন্টারনেট সমগ্র পৃথিবীকে আমাদের হাতের মুঠোই এনে দিয়েছে। ঘরে
বসেই আমরা সারা পৃথিবীকে অবলোকন করছি। ইন্টারনেটে অনেক ভাল দিক রয়েছে যা ব্যবহারের ফলে
আমাদের জানার পরিধিকে বাড়িয়ে দেয় কিন্তু এর খারাপ দিক মোটেই উপেক্ষা করার মত নয়। পর্নোগ্রাফি
তেমনই একটি খারাপ দিক যা যুবক-যুবতিদের ঠেলে দিচ্ছে ভয়াবহ বিকৃত যৌনাচারের দিকে। এই সব অশ্লীল
ভিডিও দেখার ফলে একজন তরুন হয়ে উঠছে সেক্স অপরাধী। তার একমাত্র চিন্তাধারা হয়ে উঠে সেক্স। যার
ফলে সে একজন তরুনীকে পথে ঘাটে লাঞ্ছিত করে। তার স্বাভাবিক কাজকর্ম বহ্যত হয়। আমরা যদি আমাদের
দেশটাকে এগিয়ে নিতে চাই তবে আমাদের তরুন সমাজকে অবশই নৈতিকতার মানদন্ডে উর্ত্তীণ হতে হবে।
অশ্লীল ছবি দেখার ফলে একজন তরুনই যে বখাটে হয় তা ভুল। অশ্লীল ছবি দেখার প্রতিক্রিয়া একজন তরুনীর
মধ্যেও দেখা যায় যা সাধারনত আলোচিত হয় না। একজন তরুনের মতই একজন তরুনীও যে বখাটিনী হতে
পারে এই সত্যটি আমাদের স্বীকার করতে হবে। অনেক ছেলেকে দেখা যাই ময়লাযুক্ত প্যান্ট পড়ে সেই প্যান্ট
আবার এতো নিচে থাকে যে নাভী দেখা য়ায। এই ছেলে গুলোকে আমরা সাধারনত বখাটে ভাবি। অনেককে
দেখা যায় এমন পাতলা পাঞ্জাবী পড়িধান করতে যে তার সমস্ত শরীর দেখা যায়, একে আমরা বখাটে মনে করি।
অনেককে দেখা যায় চুল বড় করে রেখে চোখে কালো চশমা পড়ে বুকের বুতাম খুলে রেখে যখন রাস্তা দিয়ে
চলে তখন একেও আমরা সাধারণত বখাটে ভাবি। কিন্তু কোন মেয়ে যখন অশ্লীল টাইপের পোশাক পড়ে তখন
তাকে আমরা সাধারণত বখাটিনী ভাবি না। কোন মেয়ে যখন স্বাভাবিক পোশাক পরিধান না করে বরং শরীরের
স্পর্শকাতর অংগগুলি ফুটে উঠে এই রকম পোশাক ব্যবহার করে তখন তাকে আমরা বখাটিনী ভাবি না বরং
মনে করি বাহ! এই মেয়েটি তো বেশ আধুনিক।
ধর্ষণ, বখাটে, বিকারগ্রস্থ, আত্মহত্যা এই শব্দগুলো আজকাল পত্রিকার পাতায় ও বুদ্ধিজীবীদের মুখে প্রচুর
পরিমাণে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই ধরনের কিছু শব্দের ব্যবহার যখন বেড়ে যায় তখন মনে করতে হবে জাতির
একটি অংশ ধ্বংশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতির স্বাভাবিক বিকাশ ব্যহত হচ্ছে। সস্তায় যৌন সামগ্রী সমাজে
ছড়িয়ে পড়লে একটি নিজ্বস্ব সংস্কৃতি সম্পন্ন জাতিকে খুব সহজেই পতনের দিকে নিয়ে যাওয়া যায়। যুবদের
নৈতিক শক্তিকে ধ্বংশ করার যত পথ ও পন্থা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল খুব সহজেই অশ্লীল সামগ্রী হাতে
পাওয়া। বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অশ্লীলতার বড় উপাদান পর্নোগ্রাফি সহজ প্রাপ্তির ফলে যুকসমাজ
ব্যাপকহারে পর্নোগ্রাফির প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে।
অনেক বুদ্ধিজীবী অশ্লীলতার বিরুদ্ধে কথা বলেন এবং লেখেন কিন্তু অশ্লীলতা বন্ধের পন্থা কি হতে পারে তা
নিয়ে খুব একটা লিখতে বা বলতে চান না। তার কারন যে কি আল্লাহই ভাল জানেন। তবে ধারনা করা যেতে
পারে, ইসলামী পন্থা ছাড়া অশ্লীলতা বন্ধের কোন পথ নেই ভেবেই হয়ত তারা চুপ থাকে। বুদ্ধিজীবীদের প্রতি
আমাদের অনুরোধ, আর উপদেশ বিবৃতি নয়, অশ্লীলতা বন্ধে কার্যকরী ব্যবস্থার কথা বলুন।
অশ্লীলতা বন্ধে কোরআনের শিক্ষা মেনে নেওয়াই হবে অশ্লীলতা বন্ধের উত্তম পথ। মহান আল্লাহ বলেন “তোমরা
যিনার ধারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চই এটা অশ্লীল কাজ ও অসৎ পন্থা (বনী ইসরাঈল-৩২)।” অন্যত্র তিনি
বলেন “ লজ্জাহীনতার যত পন্থা আছে উহার নিকটেও যেয়ো না, তা প্রকাশ্যেই হোক আর গোপনেই হোক
(আনআম-১৫১)।” এই হল অশ্লীলতা বন্ধে মহাগ্রন্থ আল কোনআনের বৈজ্ঞানিক পন্থা। অশ্লীলতার উপাদান
গুলোকেই যদি ধ্বংস করে দেওয়া যায় তবে সমাজে অশ্লীলতার প্রসার কোন মতেই সম্ভব নয়। অনেক লেখকই
বলছেন “বিপথগামিত, বিকারগ্রস্ততা, অশ্লীলতা বর্তমানে ক্রমবর্ধমান।” এর অনেকগুলো কারণের মধ্যে
অন্যতম কারণ হচ্ছে ইন্টারনেটে অশ্ললীতা। ইন্টারনেটের মত উন্নতি প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে কিছু ছেলে মেয়ে
সৃজনশীলতার সাক্ষর রাখলেও অধিকাংশ ছেলে মেয়েই এর নেতিবাচক দিকটির প্রতি বেশি আসক্ত হয়ে পড়ছে
যা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। সরকারে যারা আছেন তাদের প্রতি আমাদের একান্ত অনুরোধ, পার্থিব
উন্নতির পাশাপাশি নৈতিকতার উন্নতি ঘটাতে চাইলে কোরআনের কথা মেনে নিয়ে ইন্টারনেটের সমস্ত
পর্নোগ্রাফির সাইট গুলি বন্ধ করে দিন।
রমযান মাস
রোজা ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ এবং সর্বাপেক্ষা তাত্পর্যপূর্ণ ইবাদত। মানবদেহ জড় উপাদানে সৃষ্ট। এর চাহিদাও বিচিত্র। সে কারণে পাওয়া এবং ভোগ করার নেশা সর্বক্ষণ মানুষের সূক্ষ্ম আত্মিক অনুভূতিগুলোকে বিপর্যস্ত করে রাখে এবং আত্মাকে অনুভূতিহীন করে দেয়। ফলে উন্নততর মানবিক গুণগুলো দুর্বল এমনকি প্রাণহীন হয়ে পড়ে। মনুষ্যত্বের এ স্বভাবজাত পতন প্রতি...হত করে বিবেক এবং হৃদয়-বৃত্তির প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যেই বছরে এক মাস সিয়ামের সাধনা অপরিহার্য করা হয়েছে।সিয়ামের সর্বপ্রথম শিক্ষা ভোগস্পৃহা নিয়ন্ত্রণ করে দেহমনকে ত্যাগের মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করে তোলা। সুবহে সাদিকের পূর্বমুহূর্ত থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও সম্ভোগ থেকে পরিপূর্ণরূপে বিরত থাকার নাম সিয়াম সাধনা। এইসঙ্গে শরীর এবং মনকেও আল্লাহতায়ালার নাফরমানি থেকে সচেতনভাবে দূরে রাখা সিয়ামে পরিপূর্ণতা লাভ করার শর্ত।
এটা লিখেছে সুজন
এটা লিখেছে সুজন
রবিবার, ৮ আগস্ট, ২০১০
কলম্বাস যদি বিবাহিত হতেন
কলম্বাস যদি বিবাহিত হতেন তাহলে কখনোই আমেরিকা আবিস্কার করতে পারতেন না।
কারন তাকে আগে নিচের প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিতে হতো।
১। তুমি কোথায় যাচ্ছ? কার সাথে যাচ্ছ? কেন যাচ্ছ?
২। কি আবিস্কার করতে যাচ্ছ?
৩। এত লোক থাকতে তোমাকে কেন যেতে হবে?
৪। তুমি যখন থাকবেনা, আমি কিভাবে থাকব?
৫। আমি কি তোমার সাথে যেতে পারি?
৬। তুমি ফিরবে কখন?
৭। রাতে বাসায় ফিরে খাবে তো? আমার জন্য কি আনবে বল?
৮। তুমি আমাকে ছারা একা একা নিশ্চই কোনো পরিকল্পনা করেছ।
৯। পরবর্তীতে তুমি এমন প্রোগ্রাম আরো করতে যাচ্ছ- উত্তর দাও কেন?
১০। আমি আমার বাপের বাড়ি চললাম, তুমি আগে আমাকে সেখানে পৌছে দাও।
১১। আমি আর কোনোদিন আসবনা।
১২। আচ্ছা, আচ্ছা বলতে তুমি কি বুঝাচ্ছ?
১৩। তুমি আমাকে ঠেকাচ্ছ না কেন?
১৪। আমি বুঝতে পারছিনা এই আবিস্কার টা আসলে কিসের আবিস্কার?
১৫। তুমি সবসময় এরকম কর।
১৬। গতবারও তুমি একই কাজ করেছিলে।
১৭। এখন থেকে তুমি এ ধরনের ছন্নছারা কাজ করতেই থাকবে?
১৮। আমি এখনো বুঝতে পারছিনা, এমন কি আছে যা এখনো আবিস্কার হয়নি?
আপনাদের যাদের মাঝে প্রতিভা আছে তারা যদি বিয়ে করতে চান তাহলে আগে ভেবে নিবেন যে উপরের প্রশ্নের জবাব কি আপনি ঠিক মত দিতে পারবেন? যদি পারেন তাহলে রিস্ক নিয়ে বিয়ে টা করে ফেলেন। আর না পারলে এখনো সময় আছে ভাগেন………………. আর বেশী কিছু বললাম না। বললে হয়তো এখনি লাঠি নিয়ে আমাকে খোজা শূরু করবেন।
কারন তাকে আগে নিচের প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিতে হতো।
১। তুমি কোথায় যাচ্ছ? কার সাথে যাচ্ছ? কেন যাচ্ছ?
২। কি আবিস্কার করতে যাচ্ছ?
৩। এত লোক থাকতে তোমাকে কেন যেতে হবে?
৪। তুমি যখন থাকবেনা, আমি কিভাবে থাকব?
৫। আমি কি তোমার সাথে যেতে পারি?
৬। তুমি ফিরবে কখন?
৭। রাতে বাসায় ফিরে খাবে তো? আমার জন্য কি আনবে বল?
৮। তুমি আমাকে ছারা একা একা নিশ্চই কোনো পরিকল্পনা করেছ।
৯। পরবর্তীতে তুমি এমন প্রোগ্রাম আরো করতে যাচ্ছ- উত্তর দাও কেন?
১০। আমি আমার বাপের বাড়ি চললাম, তুমি আগে আমাকে সেখানে পৌছে দাও।
১১। আমি আর কোনোদিন আসবনা।
১২। আচ্ছা, আচ্ছা বলতে তুমি কি বুঝাচ্ছ?
১৩। তুমি আমাকে ঠেকাচ্ছ না কেন?
১৪। আমি বুঝতে পারছিনা এই আবিস্কার টা আসলে কিসের আবিস্কার?
১৫। তুমি সবসময় এরকম কর।
১৬। গতবারও তুমি একই কাজ করেছিলে।
১৭। এখন থেকে তুমি এ ধরনের ছন্নছারা কাজ করতেই থাকবে?
১৮। আমি এখনো বুঝতে পারছিনা, এমন কি আছে যা এখনো আবিস্কার হয়নি?
আপনাদের যাদের মাঝে প্রতিভা আছে তারা যদি বিয়ে করতে চান তাহলে আগে ভেবে নিবেন যে উপরের প্রশ্নের জবাব কি আপনি ঠিক মত দিতে পারবেন? যদি পারেন তাহলে রিস্ক নিয়ে বিয়ে টা করে ফেলেন। আর না পারলে এখনো সময় আছে ভাগেন………………. আর বেশী কিছু বললাম না। বললে হয়তো এখনি লাঠি নিয়ে আমাকে খোজা শূরু করবেন।
বিনামূল্যে ওয়েব সাইট কিভাবে করবেন? ২
আজ আপনাদেরকে দিব আরেকটি ফ্রী ওয়েব সাইট বানানোর নিয়ম। অনেকেই আছে যারা ওয়েবসাইট তৈরী করতে চায় কিন্তু কিছুই বুঝেনা। এই পোস্ট টি তাদের জন্য। আপনারা Webstarts থেকে এরকম একটি সাইট তৈরী করতে পারেন। এর জন্য প্রথমে আপনাকে Webstarts এ ভিজিট করে signup করতে হবে। মনে রাখবেন signup এর সময় আপনার সামনে একটা Option আসবে যে আপনি কি তাদের কাছ থেকে ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনবেন নাকি ফ্রী হোস্টিং এ কাজ করবেন। আপনি ফ্রী হোস্টিং নিবেন। যদি আপনি ডোমেইন কিনতে চান তাহলে আপনার ডলার গুনতে হবে। তারপর আপনার রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে একটি পেজ আসবে। অইখান থেকে আপনি Edit Website এ ক্লিক করবেন। এরপর আপনি একটা প্যনেল পেয়ে যাবেন। উপরে কন্ট্রোল প্যনেল থেকে আপনার যা ইচ্ছা তাই বসাতে পারবেন এই সাইট এ। (মনে রাখবেন, এই সাইটের হোস্টিং মাত্র ১০ মেগাবাইট। এখানে আপনি শুধু তাদের ট্যাম্পলেট ব্যবহার করতে পারবেন। তাদের প্রায় ২৫০ টি ট্যাম্পলেট আছে। ) আপনি আরো অনেক সাইট পাবেন যেখান থেকে আপনি ফ্রী ওয়েবসাইট করতে পারবেন। আমি আপনাকে Webstarts এর কথা বললাম কারন এই সাইট এর ব্যান্ডউয়াইথ আনলিমিটেড, আর অন্য সব ফ্রী সাইট এর ব্যান্ডউয়াইথ লিমিটেড থাকে যা ১০ থকে ১২ দিন পরেই লিমিট ক্রস করে আপনার প্রিয় সাইট টি বন্ধ হয়ে যায়। সাইট তৈরী তে কোনো সমস্যা হলে আমাকে জানান।
শুক্রবার, ৬ আগস্ট, ২০১০
কার্জন হল এর ইতিহাস
১৯০৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ভারতের তৎকালীন ভাইসরয় ও গভর্ণর জেনারেল জর্জ কার্জন ‘কার্জন হলের’ ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। বঙ্গভঙ্গের পর প্রাদেশিক রাজধানী হিসেবে ঢাকাকে গড়ে তোলার জন্য ‘কার্জন হল’ নির্মিত হয়েছিল টাউন হল হিসেবে। কিন্তু এই ধারনার সাথে একমত নন। শরীফউদ্দীন আহমদ এক প্রবন্ধে লিখেছিলেন, এটি নির্মিত হয় ঢাকা কলেজের পাঠাগার হিসেবে। এবং নির্মাণের জন্য অর্থ প্রদান করেন ভাওয়ালের রাজকুমার।
১৯০৪ সালের ঢাকা প্রকাশ লিখেছিল, ঢাকা কলেজ নিমতলীতে স্থানান্তরিত হইবে। এই কলেজের সংশ্রবে একটি পাঠাগার নির্মাণের জন্য সুযোগ্য প্রিন্সিপাল ডাক্তার রায় মহাশয় যত্নবান ছিলেন। বড়লাট বাহাদুরের আগমন উপলক্ষে ভাওয়ালের রাজকুমারগণ এ অঞ্চলে লর্ড কার্জন এর নাম চিরস্মরণীয় করার জন্য ‘কার্জন হল’ নামে একটি সাধারণ পাঠাগার নির্মাণের জন্য দেড় লক্ষ টাকা দান করিয়াছেন। ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ হলে, ঢাকা কলেজের ক্লাস নেয়া হতে থাকে কার্জন হলে। পরবর্তী সময়ে ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হলে কার্জন হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের জন্য অন্তর্ভুক্ত হয়। যা আজও ব্যবহৃত হচ্ছে।
বিনামূল্যে ওয়েব সাইট কিভাবে করবেন?
আমি সবসময় চাই আপনাদের এমন কিছু তথ্য দিতে যা আপনাদের কাজে লাগবে। তাই এবার আমি আপনাদের কে দিব ১০০% ফ্রী তে কিভাবে হষ্টিং এবং ডোমেইন পাবেন। আপনার ওয়েবসাইট এর জন্য প্রথমেই দরকার হবে একটি ডোমেইন। এখন অনেক সাইট ই আপনাকে ফ্রী দমেইন দেয়। আপনি যদি co.cc ডোমেইন নিতে চান তাহলে আপনি এই ডোমেই ১ বছরের জন্য ফ্রী পাবেন, এর পর রিনিউ করতে আপনার ডলার গুনতে হবে। এর পর আছে cz.cc ডোমেইন। এই ডোমেইন আপনি ২ বছরের জন্য ফ্রী পাবেন। আরো আছে dot.tk ডোমেইন। এই ডোমেইন এর নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই, এই ডোমেইন এ ৩ মাস এ ২৫ জন ভিজিট করলেই আপনি এটা ব্যবহার করতে পারবেন। এখন আপনি এই ৩ টা সাইট এর যে কোনো একটা সাইট থেকে ফ্রী ডোমেইন নিতে পারেন।
এখন আমরা আসি হোষ্টিং এ। আপনি বায়েট থেকে হোষ্টিং নিতে পারেন। এখানে আপনি ৫ জিবি স্টোরেজ এবং ২০০ জিবি ব্যান্ডওয়াইথ পাবেন।
আপনার ওয়েবসাইট বানাতে আরো কোনো তথ্যের দরকার হলে আমাকে জানাতে সংকোচ বোধ করবেন না।
ফটোসপে ব্যানার তৈরি করুন (468×60)
আবার আরেকটি ফালতু পোস্ট নিয়ে আপনাদের বিরক্ত করতে আসলাম। আজ আমরা দেখবো কিভাবে ফটোসপে ব্যানার বানানো যায়। পর্যায়ক্রমে আমরা শিখব অ্যানিমেটেড ব্যানার, 125×125 ব্যানার অ্যানিমেটেড ব্যানার, 728×90 ব্যানার, 250×250 ব্যানার, 160×600 ব্যানার ইত্যাদি।
যদিও এই টিউটোরিয়ালটি পড়ার পর কেউ কেউ বলবে যে, এটা সফটওয়ার দিয়ে তৈরি করা যায় তবুও আমি দিচ্ছি যারা সফটওয়ার ব্যবহার না করে মাথা খাটিয়ে ফটোসপ দিয়ে তৈরি করতে চান।
যারা এই ফালতু পোস্টটি পড়ে বিরক্ত হতে চান না তারা কিবোর্ড থেকে Ctrl+F4 চাপুন। আমি অদৃশ্য হয়ে যাব।
এই অংশের পরেও যারা পড়ছেন তারা ঝটপট ফটোসপ ওপেন করে ফেলুন। আজ আমরা শিখব 468×60 সাইজের ব্যানার তৈরি। তাই এই সাইজের একটি নতুন ফাইল নিন।
আজ আমরা পেন টুল দিয়ে কাজ করব। পেনটুল দিয়ে প্রথমে চিত্রের মত করে এঁকে নিন। যারা পেনটুল নিয়ে কাজ করতে পারে না তাদের চুপি চুপি বলছি পেনটুল দিয়ে দারুন গ্রাফিক্স করা যায়।
কিবোর্ড থেকে p চাপলেই পেনটুল সক্রিয় হবে। তারপর জায়গামত ক্লিক, ড্র্যাগ করে কাজ করতে হবে। যেখান থেকে শুরু করবেন সেখানে গিয়ে শেষ করবেন। আমি প্রথমে গাঢ় লাল রং নিয়ে পেন টুল দিয়ে নিচের মত ব্লক করলাম
তারপর আবার হলুন রং নিয়ে নিচের মত ব্লক করলাম
এরপর ইমেজটাকে ফ্ল্যাটেন করতে হবে। এর আগের আমরা Flatten Image করা শিখেছি। পারা দেখেন নি তারা দেখেনিন কিভাবে ফ্ল্যাটেন করতে হয়
এরপর সাদা অংশ ম্যাজিক টুল দিয়ে ব্লক করে ফেলুন। কিবোর্ড থেকে w চাপলে ম্যাজিক টুল সক্রিয় হয়।
কালার প্যালেটে কমলা রং সিলেক্ট করে কিবোর্ড থেকে Alt+backspace দিন।
ওয়েব লিংক দেওয়ার জন্য ডানের শেষের দিকে একটি বক্স আঁকতে হবে। কালার প্যালেটে থেকে কালার সিলেক্ট করার পর rounded rectangle tool সিলেক্ট করুন
আমি নিচের রঙে দিলাম।
ওখানে আপনার কাংখিত ওয়েব লিংকটা টাইপ টুলের সাহায্যে দিন। কিবোর্ড থেকে t চাপলে টাইপটুল সক্রিয় হবে
আপনি যে বিষয়ের উপর ব্যানার বানাচ্ছেন তার শিরোনাম বড় করে দিন
সেই শিরোনামের স্লোগান দিন
আপনি চাইলে লোগেও ধরে এনে এখানে বসাতে পারেন ঘাড় ধরে
দেখুন তো ব্যানারটি কেমন হল!!
সোর্স ফাইল চাইলে এখান (৪৮ কিলোবাইট) থেকে ডলো করতে পারেন।
এই পোষ্ট টি আমার ঠিকানা ব্লগ থেকে নেয়া
যদিও এই টিউটোরিয়ালটি পড়ার পর কেউ কেউ বলবে যে, এটা সফটওয়ার দিয়ে তৈরি করা যায় তবুও আমি দিচ্ছি যারা সফটওয়ার ব্যবহার না করে মাথা খাটিয়ে ফটোসপ দিয়ে তৈরি করতে চান।
যারা এই ফালতু পোস্টটি পড়ে বিরক্ত হতে চান না তারা কিবোর্ড থেকে Ctrl+F4 চাপুন। আমি অদৃশ্য হয়ে যাব।
এই অংশের পরেও যারা পড়ছেন তারা ঝটপট ফটোসপ ওপেন করে ফেলুন। আজ আমরা শিখব 468×60 সাইজের ব্যানার তৈরি। তাই এই সাইজের একটি নতুন ফাইল নিন।
আজ আমরা পেন টুল দিয়ে কাজ করব। পেনটুল দিয়ে প্রথমে চিত্রের মত করে এঁকে নিন। যারা পেনটুল নিয়ে কাজ করতে পারে না তাদের চুপি চুপি বলছি পেনটুল দিয়ে দারুন গ্রাফিক্স করা যায়।
কিবোর্ড থেকে p চাপলেই পেনটুল সক্রিয় হবে। তারপর জায়গামত ক্লিক, ড্র্যাগ করে কাজ করতে হবে। যেখান থেকে শুরু করবেন সেখানে গিয়ে শেষ করবেন। আমি প্রথমে গাঢ় লাল রং নিয়ে পেন টুল দিয়ে নিচের মত ব্লক করলাম
তারপর আবার হলুন রং নিয়ে নিচের মত ব্লক করলাম
এরপর ইমেজটাকে ফ্ল্যাটেন করতে হবে। এর আগের আমরা Flatten Image করা শিখেছি। পারা দেখেন নি তারা দেখেনিন কিভাবে ফ্ল্যাটেন করতে হয়
এরপর সাদা অংশ ম্যাজিক টুল দিয়ে ব্লক করে ফেলুন। কিবোর্ড থেকে w চাপলে ম্যাজিক টুল সক্রিয় হয়।
কালার প্যালেটে কমলা রং সিলেক্ট করে কিবোর্ড থেকে Alt+backspace দিন।
ওয়েব লিংক দেওয়ার জন্য ডানের শেষের দিকে একটি বক্স আঁকতে হবে। কালার প্যালেটে থেকে কালার সিলেক্ট করার পর rounded rectangle tool সিলেক্ট করুন
আমি নিচের রঙে দিলাম।
ওখানে আপনার কাংখিত ওয়েব লিংকটা টাইপ টুলের সাহায্যে দিন। কিবোর্ড থেকে t চাপলে টাইপটুল সক্রিয় হবে
আপনি যে বিষয়ের উপর ব্যানার বানাচ্ছেন তার শিরোনাম বড় করে দিন
সেই শিরোনামের স্লোগান দিন
আপনি চাইলে লোগেও ধরে এনে এখানে বসাতে পারেন ঘাড় ধরে
দেখুন তো ব্যানারটি কেমন হল!!
সোর্স ফাইল চাইলে এখান (৪৮ কিলোবাইট) থেকে ডলো করতে পারেন।
এই পোষ্ট টি আমার ঠিকানা ব্লগ থেকে নেয়া
আর্টিকেলটি লিখেছেন রাসেল আহমেদ
বৃহস্পতিবার, ৫ আগস্ট, ২০১০
শব-ই বরাত ও আমাদের করণীয়
শাবান মাসের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাত তথা হাদীসের পরিভাষায় নিসফে শাবানের রাতকে আমাদের দেশে শবে বরাত বলা হয়ে থাকে। শব শব্দটি ফার্সী এর অর্থ রাত এবং বরাত শব্দটি ফার্সী ও আরবী উভয় ভাষাতেই এর ব্যবহার রয়েছে। ফার্সী ভাষায় বরাত শব্দটির অর্থ হচ্ছে ভাগ্য। এদিক থেকে ফার্সী ভাষায় শবে বরাত অর্থ ভাগ্য রজনী বা ভাগ্যের রাত। অপরদিকে বরাত শব্দটিকে যদি আরবী শব্দ বারাআতুন থেকে উদ্ভূত ধরা যায় তবে-এর অর্থ দাঁড়ায় নিষ্কৃতি দায়মুক্তি, অব্যাহতি ইত্যাদি। এর পূর্বে শব’ শব্দটি যুক্ত করলে ‘শবে বারা’আত’-এর অর্থ দাঁড়ায় নিষ্কৃতি, দায়মুক্তি, অব্যাহতি ইত্যাদি রাত। শবেবরাত পরিভাষাটি যেহেতু ফার্সী শব্দ শব দিয়ে শুরু করা হয়েছে সেহেতু এটি নিশ্চিতভাবে ধরে নেয়া যায় যে, শবেবরাত উদযাপন প্রথাটি মাহবাতেওহী তথা ওহী নাযিলের দেশ আরব দেশ হতে আসেনি, বরং এসেছে মূলত: ইরান ও ইরানীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতি হতে এবং এরই প্রভাবে এই পর্বটি মহাসমারোহে পালিত হয়ে থাকে পার্শ্ববর্তী আমাদের এই উপমহাদেশ সহ আশেপাশের দেশসমূহে এমনকি ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে রাতটি খুবই জাঁকজমকের সাথে পালন করা হয়ে থাকে। অবশ্য আরব দেশে যে রাতটি একেবারেই উদযাপন করা হয় না, তা বলা যায় না। ইরানের পার্শ্ববর্তী ইরাকের কিছু কিছু অংশসহ কোন কোন আরবীয় এলাকায়ও নিসফে শাবান তথা শাবানের অর্ধেকের রাতের ফযিলত গ্রহণের উদ্দেশ্যে রাতটি বিভিন্ন নফল ইবাদত করার মাধ্যমে পালন করা হয়ে থাকে। কেননা এই রাতটি নাম করণে যত বিভ্রাটই থাকুক না কেন হাদীসের ভাষায় নিসফে শাবান তথা শাবান মাসের অর্ধ রাতের গুরুত্ব রয়েছে। হযরত আলী (রা:) হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন যখন অর্ধশাবানের রাত আসে তখন তোমরা রাত জেগে ইবাদত কর এবং পরের দিনটিতে রোযা রাখ। কেননা প্রত্যেক রাতে সূর্যাস্তের সাথে সাথে মহান আল্লাহ পৃথিবীর আকাশে অবতরণ করেন এবং বলতে থাকেন, কোন ক্ষমা প্রার্থী আছে কি? আমি তাকে ক্ষমা করব। কোন রিযিক প্রার্থী আছে কি? আমি তাকে রিযিক দান করব। কোন বিপদগ্রস্থ আছে কি? আমি তাকে বিপদমুক্ত করব। আর সুবহে সাদেক পর্যন্ত এ ডাক অব্যাহত থাকে (ইবনে মাজাহ) এছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আরো কিছু দুর্বল হাদীস রয়েছে যে গুলো দুর্বল হলেও ফযীলতের হাদীস হিসাবে অনেকে আমল করে থাকেন। যেমন- হযরত আয়েশা (রা:)-এর ভাষায় কোন এক শাবান মাসের অর্ধ রাতে নবী করীম (স.) কে বিছানায় পাওয়া যাচ্ছিল না। খুঁজে দেখা গেল তিনি মদীনার বাকীউল গারকাদ বা জান্নাতুল বাকীতে কবর যিয়ারত করছেন (মুসলিম) এই হাদীসের ভিত্তিতে এ রাতে নফল আমল হিসাবে অনেকেই মৃত আত্মীয়-স্বজনের কবর যিয়ারত করে থাকেন।
শবে বরাতের অস্তিত্ব প্রমাণ করার ক্ষেত্রে কেউ কেউ সুরায়ে দুখানের প্রথম দিকের কয়েকটি আয়াতের উদ্ধৃতি দেন। শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের আমি একে নাযিল করেছি এক বরকতময় রাতে নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়। (আল কুরআন; ৪৪: ২-৪) অধিকাংশ তাফসীর বিশেষজ্ঞের মতে এখানে বরকতময় রাত বলে শবে কদর বুঝানো হয়েছে যা রমযান মাসের শেষ দশকে হয়ে থাকে এবং কুরআন নাযিল হওয়ার কারণেই এরাত বরকতপূর্ণ হয়েছে। কুরআন নাযিলের রাত বলে যেখানে সুরাতুল কদর নামে একটি সুরা রয়েছে তাছাড়া রমযান মাসে কুরআন নাযিল হয়েছে বলে সুরায়ে বাকারায়ে উল্লেখ রয়েছে সেখানে শুধু মাত্র হযরত ইকরামার একটি রেওয়ায়াতের বরাতে লাইলাতুন মুবারাকা কে বরাতের রাত বলা ঠিক হবে না। বরং এটাও ক্বদরের রাত। তাছাড়া এ রাতে প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত এটাও ক্বদরের রাতেই হয়ে থাকে কেননা ক্বদরের এক অর্থ তাকদীর বা ভাগ্য। যা ক্বদরের রাতে হয়ে থাকে বলে এ রাতকে লাইলাতুল ক্বদর বলা হয়ে থাকে। (কুরতুবী)
প্রকৃতপক্ষে রমযান মাসের প্রস্তুতি গ্রহণের মাস হিসাবে শাবান মাস একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাস। কেননা নবী করীম (স.) শাবান মাসে এ দোআটি বেশি বেশি করতেন, ‘হে আল্লাহ রজব ও শাবান মাসকে আমাদের জন্য বরকতময় করুন এবং রমযান পর্যন্ত আমাদেরকে পৌঁছার তওফীক দিন। ‘রমযানের প্রস্তুতি হিসাবে নবী করীম এ মাসে বেশি বেশি করে নিজেও রোযা রাখতেন এবং সাহাবীদেরকেও রোযা পালন করতে বলতেন। হযরত আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত নবী করীম (স.) শাবান মাসের চেয়ে বেশি আর কোন মাসে রোযা রাখতেন না। বলতে গেলে প্রায় পুরো শাবান মাসই রোযা রাখতেন। অন্য রাওয়ায়াতে বলা হয়েছে তিনি শাবান মাসে স্বল্পসংখ্যক রোযা রাখতেন (বুখারী ও মুসলিম)। রমযান মাসের প্রস্তুতি হিসাবে শাবান মাসের অন্যতম নফল ইবাদত রোযা পালন হিসাবে নিসফে শাবান তথা বরাতের আগে মিলিয়ে কমপক্ষে দুটো রোযা পালন করা উচিৎ। তাছাড়া প্রতিচন্দ্র মাসের তের, চৌদ্দ ও পনের তারিখে ‘আইয়াম বীযের’ তিনটি নফল রোযা পালন করার উপর নবী করীম (স.) অত্যধিক গুরুত্ব আরোপ করেছেন। হযরত আবুযর (রা:) হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, যখন তুমি মাসে তিনটি রোযা রাখতে চাও, তখন তের, চৌদ্দ ও পনের তারিখে রোযা রাখ। (তিরমিযি) হযরত কাতাদাহ ইবনে ম্পিহান (রা.) হতে বর্ণিত নবী করীম (স.) আমাদেরকে আইয়ামে বীযের রোযা রাখার হুকুম দিতেন আর আইয়ামে বীযের দিনগুলো হচ্ছে মাসের তের, চৌদ্দ ও পনের তারিখ। (আবু দাউদ) হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা:) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ গৃহে অবস্থানকালে অথবা সফররত অবস্থায় কখনও আইয়ামে বীযের রোযা ছাড়তেন না (নামাঈ)। এমতাবস্থায় কেউ যদি নিসফে শাবান বা বরাতের রাত পালন উপলক্ষে শাবান মাসের তের, চৌদ্দ ও পনের তারিখের তিনটি নফল রোযা রাখে তবে সে এই সুবাদে আইয়ামে বীযের নফল রোযার সওয়াবও পেয়ে যায়। নিসফে শাবানের রাতে নফল নামায আদায় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। কিন্তু এ সমস্ত আমলের ক্ষেত্রে আবেগ তাড়িত হয়ে কোনরকম বাড়াবাড়ি করা যাবে না এবং এ সমস্ত নফল এবাদতকে ফরয, ওয়াজিব ও সুন্নাতে মুসাককাদাহর উপর গুরুত্ব দেয়া যাবে না। অথবা নফল আদায় করতে গিয়ে কোন ফরয, ওয়াজিব ও সুন্নাতে মুআক্কাদায়হ আদায় যেন বিঘিœত না হয় সেদিকে তীক্ষœ নজর রাখতে হবে। রাত জেগে নফল নামায আদায় মসজিদের ও নিজ গৃহে নিরবে নিভৃতে আদায় করা যেতে পারে। কেননা, ইসলামী শরীয়তের মতে মসজিদে পাঁচ ওয়াকত ফরয নামায জামায়াতের সাথে আদায় করতে হবে আর বাকী সুন্নাত ও নফল নামাজ ঘরে আদায় করাই উত্তম। কেননা তাতে ঘরেও একটি নামাজী পরিবেশ তৈরি হয়। হযরত যায়েদ ইবনে সাবিদ (রা.) হতে বর্ণিত নবী করিম (স.) বলেছেন, তোমরা তোমাদের ঘরে নামাজ পড়। কারণ ফরয নামাজসমূহ ছাড়া মানুষের নামাজের মধ্যে সেই নামাজই উত্তম যা তার ঘরে আদায় করে। (বুখারী ও মুসলিম) কিন্তু বরাতের রাতে লক্ষ্য করা যায় কিছু লোক টুপি পাঞ্জাবী পরে সারা রাত এ মসজিদ হতে সে মসজিদ, এ মাজার হতে সে মাজার অথবা রাস্তায় রাস্তায় দৌড়াদৌড়ি করা সঙ্গত নয়।
এরাতের আরেকটি আমল আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীর কবর জিয়ারত। দুর্বল হাদীস দ্বারা এটি প্রমাণিত হলেও ইসলামী শরীয়ত যেহেতু ‘কবর জিয়ারত দ্বারা জিয়ারতকারীর উপকার হয়। কবর দেখে সে আখেরাতমুখী হওয়ার সুযোগ পায় একারণে কবর জিয়ারত বৈধ করেছে সুতরাং শরীয়তের বিধান পালন করে, এরাতেও আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর কবর জিয়ারত করা যেতে পারে। হাদীস শরীফে বলা হয়েছে, ‘হযরত বুরাইদা (রা.) হতে বর্ণিত, নবী করীম (স.) বলেছেন, ‘আমি ইতিপূর্বে তোমাদেরকে কবর জিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম। এখন তোমরা কবর জিয়ারত কর। অন্য রিওয়ায়াতে আছে, এটা পরকালকে স্মরণ করিয়ে দেয়। (মুসলিম)। “হযরত বুরাইদা (রা.) হতে বর্ণিত, নবী করীম (স.) কবর জিয়ারতে গিয়ে একথা বলতে শিক্ষা দিতেন, ‘হে কবরবাসী মুমিন ও মুসলিমগণ! তোমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। আমরাও ইন্শাল্লাহ্ তোমাদের সাথে মিলিত হবো। আমরা আল্লাহ্র নিকট আমাদের এবং তোমাদের জন্য ক্ষমা ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি।” (মুসলিম)
শবেবরাত পালনে আরেকটি প্রথা প্রচলিত আছে, তা হচ্ছে- এ রাতে আতশবাজী ও হালুয়া রুটি বিতরণ। ইসলামী শরীয়ত আতশবাজীর বৈধতা দেয় না। আর হালুয়া রুটি বিতরণের মাধ্যমে মেহমানদারী বা অন্নহীনদের অন্নদান হলেও খাস করে এই রাতে হালুয়া রুটির ছড়াছড়ি করার অনুমতি দেয় না বরং সারা বছরই হালুয়া-রুটি বন্টন করা যায়।
শবে বরাতের অস্তিত্ব প্রমাণ করার ক্ষেত্রে কেউ কেউ সুরায়ে দুখানের প্রথম দিকের কয়েকটি আয়াতের উদ্ধৃতি দেন। শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের আমি একে নাযিল করেছি এক বরকতময় রাতে নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়। (আল কুরআন; ৪৪: ২-৪) অধিকাংশ তাফসীর বিশেষজ্ঞের মতে এখানে বরকতময় রাত বলে শবে কদর বুঝানো হয়েছে যা রমযান মাসের শেষ দশকে হয়ে থাকে এবং কুরআন নাযিল হওয়ার কারণেই এরাত বরকতপূর্ণ হয়েছে। কুরআন নাযিলের রাত বলে যেখানে সুরাতুল কদর নামে একটি সুরা রয়েছে তাছাড়া রমযান মাসে কুরআন নাযিল হয়েছে বলে সুরায়ে বাকারায়ে উল্লেখ রয়েছে সেখানে শুধু মাত্র হযরত ইকরামার একটি রেওয়ায়াতের বরাতে লাইলাতুন মুবারাকা কে বরাতের রাত বলা ঠিক হবে না। বরং এটাও ক্বদরের রাত। তাছাড়া এ রাতে প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত এটাও ক্বদরের রাতেই হয়ে থাকে কেননা ক্বদরের এক অর্থ তাকদীর বা ভাগ্য। যা ক্বদরের রাতে হয়ে থাকে বলে এ রাতকে লাইলাতুল ক্বদর বলা হয়ে থাকে। (কুরতুবী)
প্রকৃতপক্ষে রমযান মাসের প্রস্তুতি গ্রহণের মাস হিসাবে শাবান মাস একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাস। কেননা নবী করীম (স.) শাবান মাসে এ দোআটি বেশি বেশি করতেন, ‘হে আল্লাহ রজব ও শাবান মাসকে আমাদের জন্য বরকতময় করুন এবং রমযান পর্যন্ত আমাদেরকে পৌঁছার তওফীক দিন। ‘রমযানের প্রস্তুতি হিসাবে নবী করীম এ মাসে বেশি বেশি করে নিজেও রোযা রাখতেন এবং সাহাবীদেরকেও রোযা পালন করতে বলতেন। হযরত আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত নবী করীম (স.) শাবান মাসের চেয়ে বেশি আর কোন মাসে রোযা রাখতেন না। বলতে গেলে প্রায় পুরো শাবান মাসই রোযা রাখতেন। অন্য রাওয়ায়াতে বলা হয়েছে তিনি শাবান মাসে স্বল্পসংখ্যক রোযা রাখতেন (বুখারী ও মুসলিম)। রমযান মাসের প্রস্তুতি হিসাবে শাবান মাসের অন্যতম নফল ইবাদত রোযা পালন হিসাবে নিসফে শাবান তথা বরাতের আগে মিলিয়ে কমপক্ষে দুটো রোযা পালন করা উচিৎ। তাছাড়া প্রতিচন্দ্র মাসের তের, চৌদ্দ ও পনের তারিখে ‘আইয়াম বীযের’ তিনটি নফল রোযা পালন করার উপর নবী করীম (স.) অত্যধিক গুরুত্ব আরোপ করেছেন। হযরত আবুযর (রা:) হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, যখন তুমি মাসে তিনটি রোযা রাখতে চাও, তখন তের, চৌদ্দ ও পনের তারিখে রোযা রাখ। (তিরমিযি) হযরত কাতাদাহ ইবনে ম্পিহান (রা.) হতে বর্ণিত নবী করীম (স.) আমাদেরকে আইয়ামে বীযের রোযা রাখার হুকুম দিতেন আর আইয়ামে বীযের দিনগুলো হচ্ছে মাসের তের, চৌদ্দ ও পনের তারিখ। (আবু দাউদ) হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা:) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ গৃহে অবস্থানকালে অথবা সফররত অবস্থায় কখনও আইয়ামে বীযের রোযা ছাড়তেন না (নামাঈ)। এমতাবস্থায় কেউ যদি নিসফে শাবান বা বরাতের রাত পালন উপলক্ষে শাবান মাসের তের, চৌদ্দ ও পনের তারিখের তিনটি নফল রোযা রাখে তবে সে এই সুবাদে আইয়ামে বীযের নফল রোযার সওয়াবও পেয়ে যায়। নিসফে শাবানের রাতে নফল নামায আদায় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। কিন্তু এ সমস্ত আমলের ক্ষেত্রে আবেগ তাড়িত হয়ে কোনরকম বাড়াবাড়ি করা যাবে না এবং এ সমস্ত নফল এবাদতকে ফরয, ওয়াজিব ও সুন্নাতে মুসাককাদাহর উপর গুরুত্ব দেয়া যাবে না। অথবা নফল আদায় করতে গিয়ে কোন ফরয, ওয়াজিব ও সুন্নাতে মুআক্কাদায়হ আদায় যেন বিঘিœত না হয় সেদিকে তীক্ষœ নজর রাখতে হবে। রাত জেগে নফল নামায আদায় মসজিদের ও নিজ গৃহে নিরবে নিভৃতে আদায় করা যেতে পারে। কেননা, ইসলামী শরীয়তের মতে মসজিদে পাঁচ ওয়াকত ফরয নামায জামায়াতের সাথে আদায় করতে হবে আর বাকী সুন্নাত ও নফল নামাজ ঘরে আদায় করাই উত্তম। কেননা তাতে ঘরেও একটি নামাজী পরিবেশ তৈরি হয়। হযরত যায়েদ ইবনে সাবিদ (রা.) হতে বর্ণিত নবী করিম (স.) বলেছেন, তোমরা তোমাদের ঘরে নামাজ পড়। কারণ ফরয নামাজসমূহ ছাড়া মানুষের নামাজের মধ্যে সেই নামাজই উত্তম যা তার ঘরে আদায় করে। (বুখারী ও মুসলিম) কিন্তু বরাতের রাতে লক্ষ্য করা যায় কিছু লোক টুপি পাঞ্জাবী পরে সারা রাত এ মসজিদ হতে সে মসজিদ, এ মাজার হতে সে মাজার অথবা রাস্তায় রাস্তায় দৌড়াদৌড়ি করা সঙ্গত নয়।
এরাতের আরেকটি আমল আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীর কবর জিয়ারত। দুর্বল হাদীস দ্বারা এটি প্রমাণিত হলেও ইসলামী শরীয়ত যেহেতু ‘কবর জিয়ারত দ্বারা জিয়ারতকারীর উপকার হয়। কবর দেখে সে আখেরাতমুখী হওয়ার সুযোগ পায় একারণে কবর জিয়ারত বৈধ করেছে সুতরাং শরীয়তের বিধান পালন করে, এরাতেও আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর কবর জিয়ারত করা যেতে পারে। হাদীস শরীফে বলা হয়েছে, ‘হযরত বুরাইদা (রা.) হতে বর্ণিত, নবী করীম (স.) বলেছেন, ‘আমি ইতিপূর্বে তোমাদেরকে কবর জিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম। এখন তোমরা কবর জিয়ারত কর। অন্য রিওয়ায়াতে আছে, এটা পরকালকে স্মরণ করিয়ে দেয়। (মুসলিম)। “হযরত বুরাইদা (রা.) হতে বর্ণিত, নবী করীম (স.) কবর জিয়ারতে গিয়ে একথা বলতে শিক্ষা দিতেন, ‘হে কবরবাসী মুমিন ও মুসলিমগণ! তোমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। আমরাও ইন্শাল্লাহ্ তোমাদের সাথে মিলিত হবো। আমরা আল্লাহ্র নিকট আমাদের এবং তোমাদের জন্য ক্ষমা ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি।” (মুসলিম)
শবেবরাত পালনে আরেকটি প্রথা প্রচলিত আছে, তা হচ্ছে- এ রাতে আতশবাজী ও হালুয়া রুটি বিতরণ। ইসলামী শরীয়ত আতশবাজীর বৈধতা দেয় না। আর হালুয়া রুটি বিতরণের মাধ্যমে মেহমানদারী বা অন্নহীনদের অন্নদান হলেও খাস করে এই রাতে হালুয়া রুটির ছড়াছড়ি করার অনুমতি দেয় না বরং সারা বছরই হালুয়া-রুটি বন্টন করা যায়।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)