পেটের ভেতরের নাড়িভুড়ি, পাকস্থলী, কিডনি সব যদি বাইরে থেকে দেখা যেত! আঁতকে ওঠার কিছু নেই, এমন প্রাণীও আছে। কাচের মতো স্বচ্ছ ওই প্রাণীগুলোর শরীরে কাটাছেঁড়া না করেই দেখা যায় ভেতরের সব।
কাচ ব্যাঙ
ভেনিজুয়েলার স্থানীয় 'গ্লাস ফ্রগ' তথা কাচ ব্যাঙকে দেখে ভূত বলে চমকে উঠতে পারেন যে কেউ। হালকা সবুজ চামড়ার ব্যাঙটির পেটের চামড়া বেশি স্বচ্ছ হওয়ার ফলে ভেতরের হৃৎপিণ্ড, পাকস্থলীসহ প্রায় সব অঙ্গই বাইরে থেকে দেখা যায়।
কোথায় পেলে ভাই!
পাখার ভেতর দিয়ে দেখা যাবে ওপাশের সব। বিচিত্র এ প্রজাপতির নাম গ্লাসউইং। বাংলায় কাচপাখা প্রজাপতি। দেখা মেলে সেন্ট্রাল আমেরিকা, মেক্সিকো ও পানামায়। এর পাখার নালিকাগুলোর মাঝে যে কলা আছে, তা অনেকটা কাচের মতোই।
স্বচ্ছ মাথার বেরেলি
গভীর জলের আজব এ মাছটির রয়েছে স্বচ্ছ মাথা ও নলের মতো চোখ। চোখ দুটি ভীষণ আলোক-সংবেদী, যা মাথার ভেতরেই সবুজ লেন্সের নিচে যুক্ত থাকে। যখন মাছটি মাথার ওপর খাবার খুঁজতে থাকে, তখন চোখ দুটি থাকে ওপরে, আবার খাওয়ার সময় সেগুলো থাকে নিচে নামানো। মজার ব্যাপার হলো, মাছটির মুখের ওপরের দুটি দাগ কিন্তু চোখ নয়। এগুলো মানুষের নাকের মতো একটি ঘ্রাণ সংবেদী অঙ্গ, 'নারেস' নামে পরিচিত।
স্বচ্ছ স্কুইড
দক্ষিণ গোলার্ধের সাগরে পাওয়া যায় এ 'গ্লাস স্কুইড'। এদের চোখ আলোক-সংবেদী, যা কিনা বলের মতো ঘুরতেও পারে।
জেব্রাফিশ
২০০৮ সালে বিজ্ঞানীরা জিনেটিক প্রকৌশল খাটিয়ে 'জেব্রাফিশ' নামে এক ধরনের স্বচ্ছ মাছ তৈরি করেন। এর মাধ্যমে তাঁরা জীবন্ত প্রাণীদেহে টিউমার ও ক্যান্সারসহ অন্যান্য রোগের বিস্তার সহজে পর্যবেক্ষণ করতে পেরেছেন।
বরফ মাছ
অ্যান্টার্কটিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার দক্ষিণাংশের হিমশীতল পানিতে থাকে ক্রোকোডাইল আইসফিশ। রক্তে হিমোগ্লোবিন না থাকায় এদের রক্ত স্বচ্ছ। শরীরের সব কাজ চলে রক্তে দ্রবীভূত অক্সিজেনের সাহায্যে। ধারণা করা হয়, বরফের মতো ঠাণ্ডা পানির কারণেই এতে দ্রবীভূত অক্সিজেন সরাসরি ত্বকের মধ্য দিয়ে শোষিত হয়। পাঁচটি প্রজাতিতে আবার পেশির মিথোগ্লোবিন জিনটিও অনুপস্থিত। তাই গোলাপি হৃৎপিণ্ডের বদলে এদের আছে সাদা হৃৎপিণ্ড!
আজব ফ্রোনিমা
ফ্রোনিমা নামের আজব প্রাণীটি উত্তর আটলান্টিকের গভীর সমুদ্রে পাওয়া যায়। এর শরীরের ভেতর ও বাইরের সব এতটাই স্বচ্ছ যে এদের প্রায় চোখেই পড়ে না। সহজেই বেঁচে যায় শত্রুর হাত থেকে। কালের কন্ঠ থেকে নেয়া
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন